আসলাম পারভেজ, হাটজাজারী★-চট্টগ্রাম নগরীকেও যেন হার মানিয়েছে। যে হারে বর্তমানে বহুতল ভবন ওপরের দিকে ওঠছে সে হারে কয়টি ভবনের (সিডিএ), ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশের অনুমোদন রয়েছে তা কারো জানা নেই। ইমারত আইনকে তোয়াক্কা না করে অর্থলোভী কিছু মানুষ দৈত্যের মতো উপরের দিকে ভবন নির্মাণ করেই যাচ্ছে। এসব ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে কিনা তা আদৌ সন্দেহ রয়েছে জনমনে। গত ৫ বছরে হাটহাজারী উপজেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আনুমানিক ২০/৩০ পুকুর, দিঘি ও জলাশয় ভরাট করে ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এসবের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি না থাকায় যার যার ইচ্ছে মতো শুধু ভবন আর ভবন তুলতে শুরু করেছে। বর্তমানে হাটহাজারীতে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের ফলে যেন মনে হয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীকেও হার মানিয়েছে। এদিকে অনেকেই সরকারি বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ৩/৪ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে ৮/৯ তলা ভবন নির্মাণ করছে। হাটহাজারী পৌরসভাতেও অনুমোদন বিহীন বহুভবন নির্মাণ করেছে এবং নির্মাণ কাজও চলছে। অনুমোদনহীন ভবনগুলো ভূমিকম্পের পূর্ণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। হাটহাজারীর পরিবেশ শান্ত হওয়ার কারণে পার্শবর্র্তী উপজেলার লোকজন এসে জায়গা ক্রয় করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বসবাস করছে। তাই হাটহাজারীতে দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে তুলনাই ভবন নির্মাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুকুর, দিঘি, জলাশয় ভরাট করে (সিডিএ) কর্তৃপক্ষের ৩/৪ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নিয়ে তার ওপর ৮/৯ তলা ভবন নির্মাণ করছে। অপরিকপ্লিত, পুকুর, দিঘি ও জলাশয় ভরাট করে এত কিছু ভবন নির্মাণ করার ফলে এসব ভবন ভূমিকম্পে ধসে মারাত্মক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। ভবন নির্মাণ করার পূর্বে ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, ও সিডিএসহ সবদিক বিবেচনা করে অনুমোদন নিয়ে ভবনে ড্রেনের পানি, ও পার্কিং প্রাথমিক অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামসহ ইমারত আইন মেনে ভবন নির্মাণ করতে হয়। কিন্তু কিছু অসাধু অর্থ লোভী এসব কিছুই মানছে না। ভূমিকম্প প্রতিরোধ ভবন নির্মাণের কৌশল পানির প্রতিবন্ধকতা জলোচ্ছাসসহ বিভিন্ন দুর্যোগের কথা মাথায় এনে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ইমারত বা বহুতল ভবন নির্মাণ আইন না মেনে নির্মাণ করার ফলে পৌর এলাকায় বেশ কয়েকটি ভবন বিভিন্ন সময় ভূমিকম্পের কারণে একটির সাথে আরেকটি হেলে পড়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ফটিকা কামাল পাড়া, শায়েস্তা খাঁ পাড়া, শাহাজালাল পাড়া, ফটিকা, দেওয়ান নগর, আজিম পাড়া, আলীপুর, মেডিকেল গেইট, মিরের হাট, রঙ্গিপাড়া, হাটহাজারী বাজার ও বাসস্টেশন এর আশপাশ এলাকা ও মেখল এলাকার একাংশসহ বিভিন্ন স্থানে জলাশয় পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে বড় ধরণের ভূমিকম্পে এসব ভবন ধসে পড়ে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।