হিলি রেল ষ্টেশনে ২য় চালানে ১৭ শ টন পেঁয়াজ আমদানি, কেজিতে দাম কমেছে ১০ টাকা

প্রকাশিত: ২:২১ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২০

রবিউল ইসলাম সুইট,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে দেশে টানা সাধারণ ছুটি ও ভারতে চলমান লকডাউনের কারনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম প্রায় দুইমাস বন্ধ আছে। দেশে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব
হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম উর্দ্ধ গতি ছিল। মাঝে ঈদে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরেক দফা দাম বাড়ে পেঁয়াজের।
এ দিকে গত বৃহস্পতিবার ও আজ সোমবার ২ দফায় ৩৩ শত টন পেঁয়াজ বিরল ও দর্শনা শুল ষ্টেশন (রেল বন্দর) দিয়ে আমদানী করে হিলি রেল ষ্টেশনে এনে বেঁচা বিক্রি করায় হিলি স্থলবন্দর আশাপশের বাজারগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ খানিকটা বেড়েছে।
ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে গেলো দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। হিলি বাজারের পাইকারি আড়ৎ ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ প্রকার ভেধে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেলো দু্’দিন আগেও এখানকার বাজারে প্রতি কেজি
পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ৪৬ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে একদিনে হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ কমেছে। এবং ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আরাফাত হোসেন বলেন, দু’মাস ভারত থেকে পেঁয়াজ আমাদানি বন্ধ থাকায় দাম উদ্ধগতী ছিল। কিন্তু পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় আড়ৎগুলোতে পেঁয়াজের দাম কমেছে। ফলে আমরাও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছি।

হিলি স্থল বন্দরের আমমদানি কারক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, নতুন আমদানি করা পেঁয়াজের মান ভেদে পাইকারিতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২১ থেকে ২৩ টাকা দরে বিক্রি করছি। তিনি আরোও
জানান, পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।




error: Content is protected !!