হোয়াইক্যংয়ে বন্দুকযুদ্ধে দুধর্ষ সাদ্দামসহ মাদক সম্রাট জলিল নিহত জনমনে স্বস্তির নিঃশ্বাস
ওসমান আল হুমাম,কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।
আজ ভোররাতে থেমে থেমে কয়েক দফা মুহুর্মুহু গুলির শব্দ। আতংকে বিমুর্ষ গ্রামবাসী। ভোর হতেই আতংক বিয়োগান্তে মানুষের আনন্দের শেষ ছিলো না।
ভোররাতের প্রতিটি গুলির শব্দ যেনো গ্রামবাসীর স্বস্তির বার্তাবাহক হয়ে প্রতীয়মান হয়েছে আজ।
এগুলির দানাতে খতম হলো এ দুধর্ষ মাদক কারবারী অবৈধ অস্ত্রধারী দূধর্ষ সাদ্দাম। তার মৃত্যুর খবরে
তার নির্যাতনে হামলা, হুমকি-ধামকি, অত্যাচারে অতিষ্টরা স্বস্তির ঢেকুর তুলেছেন। এই সন্ত্রাসী সাদ্দামের পত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে লোকজনের উপর ত্রাস কায়েম করতো। অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে হ্নীলার বৃহত্তর মহেশখালীয়া পাড়া ও কম্বনের পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ চরম উৎকন্ঠা, উদ্বেগের মধ্যে দিন-যাপন করে আসছিল বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। বন্দুক যুদ্ধের মাধ্যমে এ অঞ্চলে সাদ্দাম ভীতির অবসান ঘটিয়ে নতুন দিনের উন্মোচন হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
হোয়াইক্যংয়ে পুলিশের অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে পেশাদার অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশের ৩জন সদস্য আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, ইয়াবা ও বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার দূধর্ষ ত্রাস সাদ্দাম নিহতের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এলাকাবাসী।
সুত্র জানায়, ৭জুলাই (মঙ্গলবার) ভোররাতের দিকে টেকনাফ টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের ক্রাইমজোনে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ অস্ত্রধারী এবং মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশের এসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল অভিজিৎ দাশ ও এমরান হোসেন আহত হয়। পুলিশও আর্তরক্ষার্থে বেশ কিছুক্ষণ থেমে থেমে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
পরিস্থিতি শান্ত হলে উক্ত এলাকা তল্লাশী করে ইয়াবা, অস্ত্র ও কার্তুজসহ হ্নীলা মৌলভী বাজারের মৃত সোলতান আহমদ ওরফে চামড়া বাদশাহর পুত্র, অর্ধ ডজন মামলার আসামী সাদ্দাম হোসেন (২০) এবং হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত হাজী আলী আহমদের পুত্র আব্দুল জলিল ওরফে গুরা পুতুইক্কা (৩০) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
আহত পুলিশ সদস্য এবং অস্ত্রধারী ও গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীদের আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযানের ব্যাপারে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা সংক্রান্ত কিছুই জানানো হয়নি।