হ্নীলার চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর উদ্যোগে দিন মজুরের বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন

প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২০

ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।
দিন মজুর, রিক্সা চালকের ঘরে গভীর নলকূপ স্থাপনের কথাটি শুনে অনেকের চোখ কপালে। স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। গল্পকে হার মানিয়ে গরীব অসহায় মানুষের কল্যাণে ছুটে চলেছেন দূরন্ত নাবিক কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার ২নং হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।

আজ দুসরা জুলাই বেলা ১০ ঘটিকায় টেকনাফ ২নং হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী ৭ নং ওয়ার্ডের জুম্মা পাড়ার মৃত জহুর আলামের ছেলে দিন মজুরের বাড়িতে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে Hysawa এনজিওর অর্থায়নে এক হাজার ফুট (১০০০) গভীর নলকূপ স্থাপনের লক্ষ্যে (টেস্ট বোরিং) নলকূপ স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।

৭ নং ওয়ার্ড জুম্মা পাড়া গ্রামের মানুষের পানির দুঃখ কষ্টের কথা ইতিপূর্বে কোন প্রতিনিধি শুনেনি। সুপেয় পানির স্বাদ, গন্ধ ভুলে গিয়েছিল জুম্মা পাড়াবাসী । খাবাবের জন্য আধা কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হতো। পানির লেভেল গভীরে হওয়ার কারণে হত দারিদ্র দিন মজুর মানুষগুলো টিউবওয়েল স্থাপন তাদের সাধ্যের বাইরে ছিল।
যার কারণে সুপেয় পানির দুঃখ কষ্ট তাদের দিনাপাতির অংশ ছিল।

পুকুরের পানি আর পাটকূপের পান করা ছাড়া বিকল্প পথ ছিল না।

পাশের গ্রামে পনির কল থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে তা শুকিয়ে পানির তীব্র সংকট নিপতিত হয় গ্রামবাসী।

চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ প্রতিনিধি বির্বাচিত হওয়ার পর ৭নং ওয়ার্ড জুম্মাপাড়াতে এলাকার মুরব্বীদের দু‘আ ও সাক্ষাতে গেলে এলাকাবাসীর পানির দুঃখ কষ্টের কথা শুনে ব্যাতিত হন। তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন আমি নিজ অর্থায়নে হলেও আপনাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে যাবে ইনশাআল্লাহ্।

জুম্মা পাড়ার জৈনক আশির্ধো মুরব্বী আব্দুল্লাহ বলেন হাদিস শরীফে আছে রাসূল সা. বলেন “দান সাদ্কার মধ্যে উত্তম সাদকাহ হচ্ছে পানি পান করা।“ চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের গ্রামে নলকূপ স্থাপনের মহৎ উদ্যোগটি নিয়ে আমাদের বউ-ঝিদের বহুদিনের পানির কষ্ট ঘুচিয়েছেন।
আমাদের সাবেক এমপি হ্নীলাবাসীর অভিভাবক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মেঝ ছেলে রাশেদ মাহমুদ আলীর জনকল্যাণ কাজ দেখে হ্নীলাবাসী এই তরুণ প্রতিনিধিকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে।
তার জনসম্পৃক্ততার উদ্যোগ ও আগ্রহ দেখে বায়োবৃদ্ধ প্রবীনদের দু‘আও সুনাম অর্জন করেছেন।

চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন। “আমরা দেখেছি অতীতের জনপ্রতিনিধিগুলো সরকারের বরাদ্দকৃত গভীর নলকূপগুলো বিত্তশালীদের বাড়ির আঙ্গিনায় স্থাপন করত। দিনমজুর, রিক্সা, ভ্যান চালক, অসহায় মানুষের বাড়ির আঙ্গিনায় গভীর স্থাপনের কথা হ্নীলাবাসীর কাছে যেনো রূপকথার গল্প মনে হচ্ছে।গরীবের স্বপ্ন আমার স্বপ্ন, দিন মজুর খুশি হলে আমি খুশি।এলাকার উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিতে আপনাদের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।
ইনশাআল্লাহ, এ নলকূপ স্থাপনের কাজ সফল হলে উক্ত গ্রামের ২৫০-৩০০ মানুষের পানির কষ্ট বিদূরিত হবে।




error: Content is protected !!