ওসমান আল হুমাম,কক্সবাজার প্রতিনিধি:
এশিয়ার বৃহত্তম রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প কুতুপালং এ গত ১৪মে থেকে ১৭মে পর্যন্ত পর পর ৪দিন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
১৭মে সনাক্ত হওয়া একজন নারীসহ এ পর্যন্ত মোট ৫জন রোহিঙ্গা শরনার্থী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আরআরআরসি অফিস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও এবং আইএনজিও এখন নড়েচড়ে বসছে। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সকলে। রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নতুন কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। একই সাথে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে কর্মরত ‘ইফসা’ নামক একটি এনজিও-র কক্সবাজার জেলার বাহির থেকে আসা ৩জন কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেটাও রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আলোচনায় নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। দেশে করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত হওয়ার প্রথমদিকে এক ভিডিও কনফারেন্সে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কক্সবাজারে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ ৩৪টি রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ হওয়ার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছিলেন।
রোববার ১৭মে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়া রোহিঙ্গা শরনার্থীর নাম-সাথী আকতার, তার বয়স ১৭ বছর। সে কুতুপালং ২নম্বর ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা। তার মাঝির নাম সাজেদ আমিন। সে কুতুপালং আইএমও হাসপাতালের মাধ্যমে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে স্যাম্পল টেস্টে পাঠিয়েছিলো।
কক্সবাজার আরআরআরসি অফিসের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীকে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে পৃথক করে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে স্থাপিত আইসোলেশন হাসপাতালে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই ইউএনএইচসিআর এর অর্থায়নে উখিয়াতে ২শো বেডের করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল (কোভিড হাসপাতাল) আগামী ২১মে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হচ্ছে।