আওয়ামিলীগের জনপ্রিয় তৃণমুল নেতা জহুরুল ইসলাম অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের শিকার।।
রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহরুল ইসলাম।তিনি দলের একজন পরিশ্রমি কর্মী হিসেবে এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। অতি সাধারণ জীবন যাপন করেন তৃণমুলের এই নেতা। তিনি তিন কন্যা সন্তানের জনক; তাঁর স্ত্রী ছোট একটা সরকারি চাকরি করেন এবং স্ত্রীই একমাত্র উপার্জন করেন। সেই টাকাতে চলে তার সংসার। এর আগে দীর্ঘ ১৭ বছর দক্ষতার সাথে নারুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কে সংগঠিত করার কারিগর হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন জহুরুল। সে একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থেকে উঠে এসে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগে জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তার পরিবারে দুই জন মুক্তিযোদ্ধা, বড় ভাই ও ছোট চাচা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালো বেসে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও সম্মান রেখে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। 1997 সালে তিনি প্রথম নারুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পান। কিন্তু তখন ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে নারুয়া ইউনিয়নের বড় বড় নেতা যারা বিএনপি ও অন্য দল থেকে আওয়ামিলীগে প্রবেশ করে তারা জহুরুল ইসলামের নেতৃত্ব মেনে নিতে চায়নি। কারণ সে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, কিন্তু ষড়যন্ত্র করেও তাকে দল থেকে বাদ দিতে পারেন নাই। আবার ষড়যন্ত্রকারিদের কার্যক্রমও থেমে থাকেনি। এমন প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে তিনি ছাত্রলীগ কে সুসংগঠিত করে তুলেন। আবার যখন ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচন হয় তখন সুবিধাবাদি নেতারা আপন ঘরে ফিরে যায়। নির্বাচন পরবর্তী সময় চলতে থাকে জহুরুল ইসলামের উপর নির্যাতন, বন্ধ হয়ে যায় তার পাট, পেয়াজ ও রসুনের ব্যবসা। তখন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের কোন কর্মকাণ্ড চোখে পরার মত ছিলো না, সে সময় ও ছাত্রলীগ ছিলো মাঠে। ২০০২ সালে যখন ছাত্রলীগের কমিটি হয় তখন বিগত দিনের নেতৃত্ব দানের দক্ষতার কারণে তাকে পুনরায় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছাত্রলীগ এবং সহযোগী সংগঠনকে গতিশীল করতে মাঠে কাজ করতে থাকেন জহুরুল। ২০০৪ সালের শেষের দিকে যখন ছাত্রলীগের কমিটি করা হয় তখন সবার অনুরোধে ছাত্রলীগের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করতে থাকেন। নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে থাকেন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে নারুয়া ইউনিয়ন থেকে নৌকা ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করে। ২০১৪ সালে যখন নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের কমিটি হয় তখন তৃনমুল নেতাদের সমর্থনে মুল দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু ষড়যন্ত্র কারিরা তার পিছু ছাড়েনি। থেকে যা প্রকাশ্যে রুপ নেয় গত ইউনিয়ন নির্বাচনে। যদিও তিনি নির্বাচনের আগেই জানান নির্বাচন করবেন না, কিন্তু ইউনিয়নের ত্যাগী নেতাদের এবং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের ৬৫ বিশিষ্ট কমিটি ৪৮ জনের সমর্থনে তাকে নৌকার পক্ষে প্রার্থী হতে হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্র কারিরা বিএনপির সাথে মিশে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী দেন। আওয়ামীলীগের নৌকা ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়। এর পর চলে জহুরুল ইসলাম কে রাজনীতি থেকে সরানোর অপপ্রচার। ২০১৭ সাথে কাজ শুরু করেন তিনি যে ঘরে থাকতেন সেটাতে তিন মেয়ে নিয়ে থাকার উপযোগী ছিলো না। এই ঘর করতে গিয়ে জমি, পুরান বাড়ির গাছ বিক্রি করতে হয়েছে। বাবার দেওয়া জমি বন্ধকী রাখতে হইছে যা এখনো ছাড়িয়ে নিতে পারেননি। করতে হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক, আশা ব্যাংক, বুড়ো বাংলাদেশ, ব্রাক অফিস এনজিও থেকে নিয়েছেন কিস্তির টাকা। এমন কি স্ত্রীর বোনের কাছ থেকে নিয়েছেন ধারে টাকা।এখনো ঘরে ব্যবহিত ইলেকট্রনিকস, রড সিমেন্ট, টাইলস এর দোকানে দেনা, বালিয়াকান্দি আলাউদ্দিন ইলেকট্রনিকস, নারুয়া নান্নু ট্রেডার্স, পাংশা বাহারান টাইলস। তাকে দীর্ঘ এক বছর থাকতে হয়েছে অন্য ভাইয়ের বাড়িতে স্ত্রী মেয়েদের নিয়ে নিজের ঘর না থাকায়।
এখনো শেষ করতে পারেন নাই ঘরের কাজ অর্থের অভাবে।তবুও এক শ্রেণীর কুচক্র মহল তাকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বর্তমানে তিনি শারিরিক ভাবে অসুস্থ, টাকার অভাবে পারেন নাই মেধাবী মেয়েকে ঢাকাতে পড়ালেখা করাতে, এমন কি নিজেও চিকিৎসা হতে পারছেন না।
এলাকার জনগণের দাবি এই যে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারিগনের যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহুরুল বলেন,” শত শত্রুতা করেও আমাকে রাজনীতি থেকে সরাতে পারবেনা। আমি জনতার রাজনীতি করি; জনগণই আমার শক্তি।” তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন” সামনে নির্বাচন; কুচক্রিরা আমার কেরিয়ার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। জনগনকে সাথে নিয়ে এর জবাব দেওয়া হবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন; শেখ হাসিনার রাজনীতি করি; মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি। জনগণ নিশ্চয়ই তার মুল্যায়ন করবেন।।