মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা প্রতিনিধিঃ
সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের স্বপ্নের অপমৃত্যু। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলো সাংবাদিক শফিকুল। খুলনা ফুলতলা উপজেলার, দামোদার নামক গ্রামে শফিকুল ইসলামের বাড়ি। ফুলতলা রেলষ্টেশন সংলগ্ন মসজিদের একটি পুকুর লিজ শর্তে মাছ চাষ শুরু করেন। তিনি জানান, করোনা মহামারীর শুরুর দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অাহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রায় এক একর পুকুর লিজ নিয়ে শুরু করেছিল মৎস চাষ। মাছ ছাড়া, নিয়মিত পরিচর্যা, নিয়ম মাফিক খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু চলছিল স্বাভাবিকভাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি মাসের শেষ দিকে ছেয়েছিলেন মাছ বিক্রি করতে। পরিকল্পনা মাফিক অফিস থেকে ছুটিও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত শুক্রবার সকালে চাচার ফোন কলে শেষ হয় উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন। শুক্রবার সকাল ৬ টায় জানতে পারেন পুকুরের মাছ মারা যাচ্ছে এবং বাকি মাছ ভেসে উঠছে। ধারনা করা হচ্ছিল গুমোট আবহাওয়ায় পানিতে অক্সিজেন মাত্রা কম যাওয়ায় এমনটি ঘটেছে। সেই হিসেবে পানি অক্সিজেন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়, সেই সাথে অন্যান্য ঔষুধও দেওয়া হলো। কিন্ত কোনোভাবেই মাছ মরা বন্ধ গেলো । সন্ধ্যা হতেই বৃদ্ধি পেলো মাছ মরার হার, অক্সিজেন বৃদ্ধির, সেই সাথে অন্যান্য ঔষুধও কিন্ত ফলাফল একই। মাছ মরা অব্যাহত রইলো।দিশেহারা সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম একজন বিজ্ঞ ফিসারিজ এর সাথে কথা বলেন এবং তাকে ঘটনা স্থালে নিয়ে আসেন। ফিসারিজ পানি নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান এবং পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেন পুকুরের পানিতে বিষ পাওয়া গেছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত হলো ভোর হতেই মাছ ধরা শুরু হবে।সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকালে মাছ ধরার জন্য জালও নামানো হলো পুকুরে কিন্তু জাল টেনে দেখা গেলো মাছও নেই পুকুরে। বুঝতে আর বাকি রইলো রাতের আধারে বিষ দিয়ে কৃষি সন্ত্রাসীরা। খুলনাতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরি ঘটনা নতুন কিছু নয়। চুরি যাওয়া মাছ এবং মৃত মাছ মিলে অানুমানিক ১৪ লাখ টাকার খতির মুখে পড়েন। রাষ্ট্র ও পুলিশের কাছে অাবেদন এই কৃষি সন্ত্রাসীদের খুজে বের করে দৃস্টান্তমুলক শাস্তির ব্যাবস্হা করা। যাতে অার কোনো উদ্যোক্তার স্বপ্ন ভেঙে না যায়।মাছ চুরির ঘটনা কেন্দ্র করে ফুলতলা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।