লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কঠোর অবস্থানে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ ও প্রশাসন

প্রকাশিত: ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২১

মিঠুন গোস্বামী রাজবাড়ীঃ
পাশের দেশের মত বাংলাদেশে ও হঠাৎ করে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে গত ২২/৩০ জুন মধ্যে রাত প্রযন্ত রাজবাড়ীসহ সাত জেলাতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে।রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষে প্রথম দিন থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলাতে কাজ করছে। আজ (২৩ জুন) সকাল থেকেই তারা যৌথ ভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও শহরগুলোতে টহল শুরু করেছে।
তবে সাতদিনের এই লকডাউন সফল করতে প্রথম দিন থেকে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম ও পুলিশ সুপার এম. এম শাকিলুজ্জামান নিজেরাও বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করছে। এছাড়াও ডিসি-এসপি’র নির্দেশে জেলার ৫টি উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জরাও (ওসি) লকডাউন বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।তবে এই লকডাউনে প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলছে সাধারণ মানুষ।তারা লকডাউন মানতে নারাজ, প্রশাসনের উপস্থিত লক্ষ করে দ্রুত দোকান বন্ধ করে আর অযথা বাইরে বেড় হওয়া মানুষ স্থান পরিবর্তন করছে। আবার প্রশাসনের গড়ি চলে গেলে সব কিছু সভা ভাবিক হয়ে যাচ্ছে। তবে লকডাউনের প্রথম দিন মঙ্গলবার থেকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের গঠিত একটি টিম লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে। তারা জরুরি ও কাঁচাপণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন। এছাড়াও দেখা যায় অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি তারা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। জরুরি সেবামূলক যানবাহন ছাড়া কোন গাড়ি তারা রাজবাড়ীতে ঢুকতে ও বাহির হতে দিচ্ছেন না।পাংশা উপজেলার লকডাউনের পরিস্থিতি জানার জন্য পাংশা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার পাংশার উপজেলা লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি গন এক সাথে কাজ করছি। আমার অযথা ঘরের বাইরে বেড় হওয়া লোক জন কে বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছি। জরুরি ও কাঁচাপণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানগুলো বন্ধ রাখতে কাজ করছি। রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, জনগণের মঙ্গলের জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছেন। আমাদের সবার উচিত যার যার জায়গা থেকে আন্তরিকতার সাথে সরকার ঘোষিত সকল নির্দশনা মেনে চলা। আমরা যদি লকডাউন না মেনে বিশৃঙ্খলা ভাবে ঘুরাফেরা করি তাহলে আমাদের সবার জন্যই সামনের দিনগুলোতে আরও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে।রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, লকডাউন না মানার কোন সুযোগ নেই। আমাদের নিজেদের জন্যই লকডাউন মানতে হবে। নিজের সন্তান, নিজের পরিবার ও দেশের কথা ভেবে সরকার ঘোষিত সকল নির্দেশনা আমাদের মেনে চলতে হবে। লকডাউন মানাতে প্রয়োজনে আমরা আরো কঠোর হবো। কিন্তু আমরা সেটা চাচ্ছিনা। আমরা চাচ্ছি- আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে আমরা সচেতন হয়। আমরা সচেতন হলেই করোনারোধ করা সম্ভব।




error: Content is protected !!