মো:শৌভন আহম্মেদ সবুজ নিজস্ব প্রতিনিধি
বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় খুন হয় মিরপুরের স্কুল ছাত্রী ফাতেমা (১৪)। এ ঘটনায় ঐ স্কুল ছাএীর প্রেমিক আটক আপন( ১৭) পুলিশের কাছে ঘটনার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দেয়। আটক আপনের সাথে ঐ স্কুল ছাত্রীর পূর্বে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আজ দুপুর ২ টায় পুলিশ সুপার খায়রুল আলম এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টায় মিরপুর উপজেলার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের ভাঙ্গা বটতলা নামক স্থানের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত উম্মে ফাতেমা মিরপুর পৌরসভার ওয়াবদা পাড়া এলাকার খন্দকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে মিরপুর বর্ডারগার্ড পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
ফাতেমা গত মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলো বলে সকালে মিরপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে তার পিতা খন্দকার সাইফুল ইসলাম।
সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত ১১টার সময় ভাত খেয়ে তার নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায় ফাতেমা। রাত ২টার দিকে তার ঘরের দরজা খোলা দেখে আসে পাশে অনেক খোজাখুজি করে। বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে মিরপুর থানায় একটি জিডি করি।
পরে বেলা ৩টার দিকে জানতে পারি যে ভুট্টা ক্ষেতে মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে চার ঘন্টার হত্যাকান্ডে মুল রহস্য উদঘাটন করে আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ জানান, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামি কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের কথা স্বীকার করেছে।এখন আমরা আইনগত ভাবে তাকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনবো।