ফরিদপুরের বোয়ালমারী তেলজুড়ি গ্রামে বাড়ি ঘর ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ!!

প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২০

ফরিদপুর প্রতিনিধি;
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার তেলজুড়ি গ্রামে চোর কে দেয়া টাকা ফেরত চাওয়া কে কেন্দ্র করে ১০ মে আচমকা বাড়ীতে হামলা চালিয়ে মুক্তি খন্দকার ও ডাবলু খন্দকার গ্রুপের ৬ টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করে নেয়ার অভিযোগ উঠে একই গ্রামের তিন ভাই জাকার ফকির,জাহিদ ফকির,সাকো ফকির গ্রুপের দাউদ শেখ,মাহামুদ শেখ,সূর্য শেখ,হারুন খা,আলম শরীফ, সালাউদ্দিন, হেমায়েত,মজিবর সরদার, ইদ্রিস মোল্লা, হাসেম সরদার,হোসেন সরদার, মন্ছুর সরদার সহ প্রায় দু’শতাধিক মানুষ নিয়ে রাত ৮ টার দিকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মুক্তি খন্দকার গ্রুপের আলী মোল্লা, আবদুল হক মোল্লা,ইকরাম মোল্লা,ওমর মোল্লা, কামাল মুন্সীর বাড়ি সহ মোট ৬টি বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করে নেয় বলে তারা অভিযোগ করেন।ভাংচুর লুটপাটে ক্ষতি সইতে না পারায় গরীব অসহায় ইকরাম মোল্লা (৫৫)ঘটনার ৫ দিন পর হার্ট এট্যাকে মারা যায়। ইকরামের বসতবাড়ীর তিনটি ঘর ভাংচুর লুটপাট করে নেয় তিন ভাই গ্রুপের লোকজন। এই সংঘর্ষ হামলায় আহত হন ১০ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত জেলখাটা আলী মোল্লার পিতা আবদুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন বাড়িঘরে হামলার কয়েকদিন আগে আমাদের তেলজুড়ি গ্রামে একবাড়িতে ঘরে সিং খুড়ে চুরি করার সময় বাবু খার ছেলে চোর মতি খা হাতেনাতে ধরা পড়ে। গ্রামবাসী চোর কে উত্তম মাধ্যম দেয়।চোরের লিডার সাকো ফকির ও তার ভাই জাহিদ ফকির চোর কে
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসার জন্য নেয় এবং চোরের অবস্থা বেশি খারাপ বাজবেনা বলে মুক্তি খন্দকার গ্রুপের লোকজনদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয়।টাকা দেয়ার পর মুক্তি খন্দকার লোক দিয়ে হাসপাতালে খবর নেয়।হাসপাতালে গিয়ে দেখে চোর দাড়িয়ে সিগারেট ধরিয়ে টানতেছে।আলীর বাবা আবাদুর রাজ্জাক মোল্লা গ্রামের মানুষ ডেকে চোর কে দেয়ার জন্য যে টাকা দিয়েছিল তা ফেরত চায়।চোরের কাছে জানতে পারে মাত্র ৩হাজার টাকা চোর পেয়েছে আর বাকি টাকা ফেরত চাইলে সাকো ফকির বলেন থানায় টাকা দিয়ে ঠান্ডা রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী আলী মোল্লা বলেন গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় খালের ঐ পাড়ে ধান কাটার বেগার চলে আমরা আরিফ শেখের বাড়ি যাই ধান কাটতে। ধান কাটতে বেগার দেয়া লোকন একসাথে বেগারওলার বাড়িতে কাজ করি তখন রাত ৮ টার দিকে তিন ভাই গ্রুপের লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করে নিয়ে যায়।সে সময় বাড়িতে থাকা মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে বাগানের ভিতর পালিয়ে থাকে।আমদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করে নিয়ে গেছে এমনকি রাতে ঘরে একটু নিরাপদে থাকব তার উপায় নাই। হামলাকারীরা ঘরের বেড়া,আসবাবপত্র ভাংচুর লুটপাট করার পাশাপাশি ঘরের চালের টিনগুলো কুপিয়ে কুপিয়ে ফুটো করছে যে বৃষ্টি নামলে পানি গড়িয়ে পড়ে সবকিছু ভিজে যায়।
এই ঘটনায় আমাগো দলের লোকজন থানায় গেলে ওসি মামলা না নিয়ে উল্টো কৌশলগতভাবে উভয় পক্ষের ৬ জন কে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দেয়।এই মামলায় রমজান মাসে মসজিদ থেকে তারাবীর নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আলী মোল্লা কে পুলিশ আটক করে জেলখানায় সোপর্দ করে। ২৮ দিন কারাবাস শেষে ১০ জুন আদালত থেকে জামিন পায়।আলী মোল্লা বলেন বাড়ি ঘর ভাংচুর লুটপাটে যে ক্ষতি না হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে পুলিশের মিথ্যা মামলায় জেলখানায় বন্দী থেকে।বোয়ালমারী থানায় আজও মামলা না নেওয়ায় ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করবেন বলে তারা জানান।




error: Content is protected !!