আবদুল্লাহ আল মামুন, যশোর;
যশোরের কুয়াদা বাজারে আলোচিত সৌরভ ডেন্টাল কেয়ারে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম।
জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার কুয়াদা বাজার সিরাজসিংগা রোডে অবস্থিত সৌরভ ডেন্টাল কেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সোমবার
(২৭ জুলাই-) বানিজ্য মন্ত্রালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যশোর জেলা কার্যালয় কর্তৃক্ষ বাজার তদারকিমুলক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় কুয়াদা বাজার তদারকিকালে সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজ করার ( ডাক্তার না হয়ে ও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করা এবং নাক-কান ফোঁড়ানোর কাজ করা) অপরাধে সৌরভ ডেন্টাল কেয়ার-কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।
সৌরভ ডেন্টাল কেয়ার এর স্বত্তাধিকারী মফিজুর রহমানকে এ সময় কঠোরভাবে সতর্ক করার পাশাপাশি দাঁতের সকল ধরণের চিকিৎসা করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সৌরভ ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্তাধিকারী মফিজুর রহমান নিজে ডাক্তার না হয়ে ও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের মগজ ধোলায় করে দির্ঘদীন যাবৎ প্রতারণা করে এ ব্যবসা করে আসছে।
শুধু তাই নয়,যশোরের খাজুরা বাজারে সৌরভ ডেন্টাল কেয়ার নামে আরো একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে একই প্রতারক চক্র। নিজেরা ডাক্তার না হয়ে ও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বহুদিন ধরে মানুষের সাথে প্রতারনা করে তাদের এ রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
এলাকার সচেতনমহল দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কুয়াদা বাজারে আলোচিত সৌরভ ডেন্টাল কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানে যেভাবে অভিযান পরিচালনা করেছেন,তেমনি খাজুরা বাজারে যে সৌরভ ডেন্টাল কেয়ার আছে সেখানে আরো একটি অভিযান পরিচালনা করা হলে এই ভুয়া ডাক্তারদের মুখোশ উন্মোচন করা যেত,পাশাপাশি জনগন খুবই উপকৃত হতো। ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী নজরুল ইসলাম এই আলোচিত ভুয়া ডাক্তার মফিজুর রহমানের আত্মীয়।
প্রশ্ন উঠেছে,এই ভুয়া ডাক্তার মফিজুর রহমান ও নজরুল ইসলাম এর খুঁটির জোর কোথায়?
অপর দিকে, মুল্য তালিকা না থাকা,স্টিকার বিহীন পন্য বিক্রি করার জন্য একই উপজেলার সতীঘাটা বাজারে আবুল হাসেম স্টোর-কে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাবসায়ীদের মুল্য তালিকা যথাযথভাবে ট্নানো ও হালনাগাদকরন,নির্ধারিত মুল্যে পন্য বিক্রিয় এবং ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ ওয়ালিদ বিন হাবিব।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন,কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) যশোরের সদস্য এবং প্রতিনিধি মোঃ আব্দুর রকিব সরদার এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন কে জানায় কুয়াদার সাংবাদিক ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন মিলন।