সিনহা হত্যা: শিপ্রার পর সিফাতের জামিন মঞ্জুর

প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০

ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজার টেকনাফের তল্লাশী চৌকিতে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান মৃত্যুর ঘটনার পর পুলিশের দায়ের করা মামলায় নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সাথে থাকা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বরগুনার বামনা উপজেলার সন্তান শাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

একই সঙ্গে এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের মামলায় সিফাতের বিরুদ্ধে পরস্পর (সিনহা ও সিফাত) যোগসাজশে সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশে অস্ত্র তাক করা ও মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে এবং ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার ১১দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পেলেন।

সোমবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে
রামুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ আসামি পক্ষের করা জামিন আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে তদন্তভার র‌্যাব-১৫ কে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিফাতের প্রধান আইনজীবী মোস্তফা অ্যাসোসিয়েটের সদস্য মাহবুবুল আলম টিপু।

এর আগে রোববার অপর সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় জামিন দিয়েছিলেন আদালত। পরে তিনি বিকেলে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা। এ সময় তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন সিফাত।

ওই দিন সিনহা-সিফাতরা যে রিসোর্টে উঠেছিলেন, সেখান থেকে শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। প্রায় ১০ দিন পর রোববার শিপ্রাকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত।

ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র বানাতে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত, শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত।

গত ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে টেকনাফ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে হিমছড়িতে আসছিলেন মেজর (অব.) সিনহা।
ওই গাড়িতেই ছিলেন সিফাত। বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে গাড়ি থামালে গাড়ি থেকে নেমে আসেন সিনহা ও সিফাত। সেখানে পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে মারা যান সিনহা। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেখানে সিফাতকে আসামি করা হয়।

এরপর গত বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষ তাঁদের আটক ও পরে রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। আর বাকি চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।




error: Content is protected !!