টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।
টাঙ্গাইলের সখিপুরে খোরশেদ আলম (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাতে মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার বড়চালা গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় রাতেই তার ছেলে হানিফ বাদী হয়ে সখিপুর থানায় মামলা করেন। হত্যার ঘটনায় একই গ্রামের মোকছেদ ও সানোয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খোরশেদ আলমের ছেলে হানিফ সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাতে বংকুরি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মোকছেদ আলী, সানোয়ার হোসেন, তোতা মিয়া, আব্দুর রহিমসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন খোরশেদ আলমকে ঘিরে ধরে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকের পাঁজরে আঘাত করে তারা। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয়। ঘাতকরা মৃত্যু হয়েছে ভেবে চলে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় খোরশেদ আলম রাস্তার পাশে কাজী মিয়ার বাড়িতে গিয়ে উঠেন। এ সময় কাজী মিয়ার পরিবার খোরশেদের বাড়িতে খবর দেয়।
খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এসে তাকে প্রথমে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে খোরশেদ আলমের অবস্থার আরো অবনতি হয়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে রেফার করলে শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোরশেদ আলমের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, আসামি মোকছেদ আলীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ খোরশেদ আলমের বিরোধ ছিলো। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে আহত অবস্থায় খোরশেদ আলম তাদের নাম জানিয়েছেন।
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান উকিল জানান, ওই ব্যক্তির বুকের পাঁজরে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।