সৈয়দ শাহান শাহ পীর,শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাসহ হবিগঞ্জের সবত্র হিজড়ারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তৃতীয় লিঙ্গ দ্বারা /উভয়লিঙ্গ হিসেবে লোকজন হিজড়াদের সাহায্য সহোগিতা করা সত্তেও বতমানে তারা অমানবিক আচরণকৃত আতঙ্কের নাম হিজড়া চাঁদাবাজি নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। জানা যায়, জেলার প্রায় সর্বত্র ফুটপাত, দোকানপাট, রাস্তাঘাট হাট বাজার এমনকি যানবানের যাত্রীরা হিজড়াদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। তারা চাঁদাবাজির মত ঘটনা নিত্যদিনের পেশা হিসেবে মনে করছে। তারা প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানে এরকের অপরাধকর্ম করেছে। আর লোকজন লজ্জায় ঘটনা চাপিয়ে রাখছে। কিছু লোক প্রতিবাদ করলেও প্রতিকার পাচ্ছে না। বরং উল্টো তাদের ভয়ভীতি পেয়ে মুখ বন্ধ রাখে। হিজড়াদের এসব আচরণে মানুষজন আতঙ্কগ্রস্থ অতিষ্ঠ। মনে হয় যেন তাদের অপকর্মের দেখার কেউ নেই।এ সমস্ত হিজড়ার দল অশ্লীল নৃত্যের তালে উচ্চ আওয়াজে গান গাইতে থাকে, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং গালিগালাজ করা চাঁদাবাজি করে চাদাবাজি করছে। আবার তাদের চাহিদা মতো টাকা না দিলে লোকজনকে প্রায় জিম্মি করে ফেলে। ফলে লোকজন লজ্জার ভয় পেয়ে সম্মান বাঁচাতে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে জিম্মি থেকে মুক্তি পায়। নতুবা অপমান করেই করে ছাড়বে হিজড়ার দল।আর সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা একদিকে যেমন বর কনের শুভযাত্রা পথে গাড়ি আটকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে অন্যদিকে তাদের আচরণে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।এ সমস্ত হিজড়ার চাঁদাবাজি শীত মৌসুমে মারাত্মক আকার ধারণ করে। উল্লেখ্য, হিজড়ারা শুধুই চাঁদাবাজি করে থাকে না তাই নয় তারা ইয়াবা, গাজা, এবং বিভিন্ন মাদক দ্রব্য সাপ্লাই দিয়ে থাকে। হিজড়াদের এ বেপরোয়া দূরত্বকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু একশ্রেণীর মানুষ।ফলে, সামাজিক পরিবেশের জন্য চরম হুমকি ইঙ্গিত বহন করেছে। তাই এ বিষয়ে সরকার বিশেষ করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।