মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জৈনসার ইউনিয়নে সরকারি বনবিভাগের গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে
হাবিব হাসান মুন্সিগঞ্জ থেকে
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জৈনসার ইউনিয়নে সরকারি বন বিভাগের গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ভবন পুর গ্রামে জৈনসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন আলী গোরাপী সরকারি রাস্তার বনবিভাগের গাছ বিক্রি করেছেন এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী দের কাছ থেকে জানতে পারা যায় চারটি গাছ 16000 টাকায় বিক্রি করেছেন ভবানীপুর গ্রামের সালাম হাওলাদারের ছেলে প্রবাসী শাহিন হাওলাদার এই গাছ গুলো কিনেন সবে মাত্র একটি বড় গাছ কেটেছেন গাছ কাটার ব্যাপারে শাহিনের কাছে জানতে চাইলে সে জনসমুক্ষে ও চেয়ারম্যানের সামনে বলেন কাঞ্চন আলী গোরাপীর কাছ থেকে আমি একটি গাছ কিনেছি এবং তাকে দুই হাজার টাকা নগদ দিয়েছি।
আমি বিদেশ থাকি দেশে এসেছি বেশিদিন হয়নি দেশের আইন কানুন সম্পর্কে আমার ধারনা নেই গাছের ব্যাপারে যদি এমন কঠিন পরিস্থিতির শিকার হবো তাহলে আমি গাছ কাটতাম না এ ব্যাপারে জৈনসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু বলেন আমি সেদিন ঢাকায় ছিলাম দেশে আসার পর জানতে পারি কাঞ্চন বন বিভাগের চারটি গাছ বিক্রি করেছে এবং যার কাছে বিক্রি করেছে সে একটি গাছ কেটে ফেলেছে সরোজমিনে যে দেখি ঘটনা সত্য আমি জিজ্ঞেস করলে ও নিষেধ করলে কাঞ্চন আমাকে অমান্য করে পরে বন অধিদপ্তরে জানিয়ে দেই ।জৈনসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, কাঞ্চন কে জিজ্ঞেস করলে কাঞ্চন বলে আমিতো গাছ বিক্রি করিনি গাছের ডাল কাটতে বলেছিলাম, এ ব্যাপারে আমরা কাঞ্চন এর কাছে জানতে চাইলে কাঞ্চন তার জবানবন্দিতে বলেন চেয়ারম্যানের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো নাই তার সাথে আমার দ্বন্দ্ব থাকাতে একটা মহল আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে ও আমার সম্মান নষ্ট করতে চাচ্ছে। আমি সরকারি কোন গাছ বিক্রি করিনি ও শাহিন এর কাছ থেকে কোন টাকা ও নেই সম্পূর্ণ মিথ্যে আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি। আমি শাহীনকে শুধু ডাল কাটতে বলেছিলাম এটা সত্য আর আমরা কয়েকজন এই বন বিভাগের রাস্তার প্রজেক্ট এর সাথে জড়িত।বন বিভাগের কর্মকর্তা বলেছেন এটা সরকারি গাছ।এই ব্যাপারে এলাকার জনগণের কাছে জানতে চাইলে অনেকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন ঘটনাটি সত্য কাঞ্চন গাছ বিক্রি করেছে এবং শাহিন টাকা দিয়ে কিনেছে।কাঞ্চন জাকির নামে একজন প্রভাবশালীর সাথে চলাফেরা করাতে সে এলাকায় অনেক ক্ষমতার বড়াই দেখায় এবং অনেক জুলুমবাজি করে। এই ব্যাপারে এলাকার অনেকেই কাঞ্চনের ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়। সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন সরকারি গাছ কাটার ব্যাপারে যদি সত্যতা যাচাই করে পাওয়া যায় তাহলে সাংগঠনিকভাবে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আশফিকুর নাহার বলেন লোক পাঠিয়ে ছিলাম গাছ কাটার ঘটনা সত্য ,ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সত্য প্রমাণিত হলে বন বিভাগ মামলার ব্যবস্থা নেবে।