কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জে এক আইনজীবীকে অপহরণের অভিযোগে শিক্ষানবিশ অন্য আরেক নারী আইনজীবীকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের ২ নম্বর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শহীদুল ইসলামের খাস কামলায় মামলার নথি পাঠানো হলে জামিন না মঞ্জুর করে শিক্ষানবিশ নারী আইনজীবীকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোস্তফা আলম হিমেল তাকে অপহরণের অভিযোগ এনে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শিক্ষানবিশ নারী আইনজীবী আফরোজা জামান রুনা ছাড়া বাকি তিন আসামি হচ্ছেন, আফরোজার বড় ভাই মো. রানা, প্রতিবেশী মো. সাফায়েত ও ইসফাম।
মামলার বিবরণে বাদী আইনজীবী মোস্তফা আলম হিমেল অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্মস্থলে আসার সময় জেলা জজ আদালতের মূল ফটকের সামনে থেকে আসামিরা তার পথ রোধ করে জোরপূর্বক একটি সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরে তাকে শহরের গাইটাল শ্রীনগর এলাকায় আফরোজা জামান রুনার বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঘণ্টাখানেক পর শিক্ষানবিশ আইনজীবী আফরোজা জামান রুনার বাসা থেকে আইনজীবী মোস্তফা আলম হিমেলকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে উদ্ধারের পর মোস্তফা আলম হিমেল অপহরণের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনা নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, গ্রেপ্তার শিক্ষানবিশ নারী আইনজীবী নারী পুলিশের কাছে দাবি করেছেন আইনজীবী মোস্তফা আলম হিমেলের সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পতি বিয়ে করতে অস্বীকার করায় তারা তাকে ধরে নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে মোস্তফা আলম হিমেলকে বিয়ের চাপ দেন বলে জানান ওসি।