
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় সোহেল নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ। ২৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে সড়কের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় ও পথচারীরা পুলিশে খবর দিলে মরদেহ টি উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ। নিহত অটোরিকশা চালক সোহেল পাশ্ববর্তী কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের মাঝের চর গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে বলে পরিচয় পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সকালে কালিকা প্রসাদ এলাকার ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে এই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। নিহতের ঘাড় মটকে দেওয়া হয় ও হাত দুটো বাঁধা অবস্থায় ছিল। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে অথবা পূর্ব শত্রুতার জেরে এই চালক কে হত্যা করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহেল গত মঙ্গলবার রাত থেকে অটো রিকশা সহ নিখোঁজ ছিল। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার সময় কুলিয়ারচরের দারিয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে অটো রিকশায় যাত্রী নিয়ে একই উপজেলার ফরিদপুর মাজারে যায়। তখন তার অটো রিকশা তে পাঁচজন যাত্রী ছিল। এর পর থেকে সোহেল নিখোঁজ হয়। এমতাবস্থায় পরদিন বুধবার সকালে পাশ্ববর্তী ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অটোরিকশা চালক নিহত সোহেলের কারো সাথে পূর্ব শত্রুতা ছিল না বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি পূর্ব শত্রুতার কারণে কিংবা অটোরিকশা টি ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে হয়তো কেউ তাকে হত্যা করছে। তার দেহে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে তার ঘাড় মটকানো রয়েছে এবং পিছনে হাত বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।