তিস্তার তীরে ২৩০ কিলোমিটার মানববন্ধন সফল করাতে ডিমলা জনসংযোগ ও মত বিনিময় সভা
মোঃ মেজবাউল হোসেন, নীলফামারী (ডিমলা) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় অদ্য ২৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ডিমলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে তিস্তা নদী ব্যবস্তাপনায় গৃহিত মহাপরিকল্পনা দ্রত বাস্তবায়ন, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরন, পূনর্বাসন এবং তিস্তা তীরবর্তী কর্মহীনদের জন্য প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন ও শিল্প কলকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের দাবীতে ০১ নভেম্বর ২০২০ইং রবিবার তিস্তা নদীর দুই তীরে ২৩০ কিলোমিটার মানববন্ধন সফল করার লক্ষ্যে জনসংযোগ ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিয়ার রহমান, মোঃ রুহুল আলম, অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান, মোঃ সোহেল হোসেন সহ তিস্তা পাড়ের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নজরুল ইসলাম হক্কানী তার বক্তব্যে বলেন, “তিস্তা নদী ড্রেজিং, দুই তীর সংরক্ষণ এবং তিস্তার শাখা উপশাখা নদী খনন না করার কারণে খরা, বন্যা, নদী ভাঙনে তিস্তা পাড়ের মানুষ ঘরহারা, জমিহারা। সম্ভাবনাময় চরের কৃষি বিপন্ন। কৃষক দিশেহারা। সাধারণ মানুষের কল্যাণে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবী। তিস্তা নদীকে ঘিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদী শাসন এবং তিস্তাকে ঘিরে নানামুখী স্থায়ী কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। কিন্তু এক স্বার্থেনেসী কুচক্রি মহল এই মহাপরিকল্পনা বাঞ্চালের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাই তাদের এই অপতৎপরতাকে রুখতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।”
মোঃ শফিয়ার রহমান জানান, “আমরা ০১ নভেম্বর ২০২০ইং বেলা ১১টায় ডিমলার কালীগঞ্জ পয়েন্ট থেকে শুরু করে চিলমারী পর্যন্ত ২৩০ কিলোমিটার মানব প্রাচীর তৈরী করতে চাই। তিস্তা পাড়ের মানুষের প্রাণের দাবী এই মহাপরিকল্পনা গ্রহন করায় জননেত্রী শেখ হাসিনা কে এই মানববন্ধনের মাধ্যমে অভিনন্দন জানাতে চাই।”