পিরোজপুরে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কারাগারে

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মমালায় জেলার কাউখালী উপজেলার সাবেক মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও মোড়লগঞ্জ উপজেলার বর্তমান উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন (৫২) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পিরোজপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমানের আদালত এ আদেশ প্রদান করেন। মামলাটি দায়ের করেন ওই কর্মকর্তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মাৎ রুপিয়া বেগম। মো. আলমগীর হোসেন পিরোজপুর পৌরসভার রানীপুর এলাকার মৃত আবু বকর আকনের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি মো. আলাউদ্দিন খান ওই কর্মকর্তার কারাগারে প্রেরনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই কর্মকর্তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের হওয়া মামলায় ওই দিন তিনি আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেন।
দায়ের হওয়া মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই কর্মকর্তার সাথে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুপীয়া বেগমের সাথে গত বছরের ২৮ জুলাই প্রেম করে বিয়ে হয়। ওই কর্মকর্তা তার আগের সংসারের স্ত্রী ও সন্তানের তথ্য গোপন করে ওই নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এ অভিযোগে ওই দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী হয়ে গত ৭ মার্চ পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার বাদী রুপীয়া বেগম জানান, তিনি জেলার কাউখালী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা থাকাকালীন একই অফিসের একটি প্রকল্পের অধীনে চাকুরী করতেন। এ সময় তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও আগের স্ত্রী-সন্তানের তথ্য গোপন রেখে বিয়ে করেন।