নিজস্ব প্রতিনিধি- আজমিরীগঞ্জের বদলপুরের পাহাড়পুর বাজারে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে পড়েছে। প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মৎস্য কর্মকর্তা নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,
আজমিরীগঞ্জের বদলপুরের পাহাড়পুর বাজারে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে পড়েছে।চলছে বিক্রির মহোৎসব । সরকার ৪ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার বা তদপেক্ষা কম ব্যাস বা দৈঘ্যের জালের (কারেন্ট জাল) এবং চট (ভীম) জাল নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। নিয়ম অনুযায়ী এ আইন অমান্যকারীকে ১০০০ টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের জেল অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার ঘোষণা রয়েছে।
কিন্তু এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গগুলী দেখিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পাহাড়পুর বাজারে বিভিন্ন কৌশলে বিক্রি করছে নিষিদ্ধ জাল। নিষিদ্ধ ওই জাল সহজলভ্য হওয়ায় মৎস্য শিকারীরা অবাধে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে শিকার করছে হাওড়ের দেশী প্রজাতির ছোট ইলিশ মাছ, পোনা, কুচিয়া সহ প্রাকৃতিক জলজ প্রাণী । এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে এক সময়ের প্রাকৃতিক মৎস্য ভান্ডার খ্যাত আজমিরীগঞ্জের বৃহত্তর হাওর অঞ্চলের অনেক প্রজাতির মিঠা পানির মাছ ৷
এ ব্যাপারে, সচেতন মহলের দাবি, প্রশাসনকে কঠোর অবস্থা অবলম্বন করতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যতে বড় ও ছোট দেশীয় মাছের আকাল দেখা দিতে পারে বলে আশংখা করা হচ্ছে।