হিলি সীমান্তের “বালুর চর বস্তিটি “যেন মাদকের অভয় আশ্রম মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত
আসলাম উদ্দিনজেলা প্রতিনিধি দিনাজপুরঃ
করোনা ভাইরাসের মাঝে থেমে নেই মাদক কেনা বেচা এমনি এক স্থান দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্ত বর্তী চেকপোষ্ট ও মুক্তি যোদ্ধা অফিস সংলগ্ন রেল ওয়ে জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ” বালূরচরা বস্তি”
প্রকাশ্যেই কেনা বেচা চলে মাদক মাদকের আখড়া বলে পরিচিত জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রতিদিন ভারত হতে বিভিন্ন ধরনের মাদকের চালান প্রবেশ করে এবস্তিতে।
এবস্তিতে মাদকের মধ্যে ফেনসিডিল হিরোইন গাঁজা পেথোড্রিন ইনজেকশন ইয়াবা প্রকাশ্যে বেচা কেনা হয়।
একটু রাত হলে অবৈধ্য ভাবে গড়ে ওঠা ঐ বস্তির বাড়িগুলোতে মাদকের আসর এছাড়াও অসামাজিক কার্যকালাপ চলে এ বস্তিতে।
জবর দখল করে গড়ে তোলা এ বস্তিতে মুলত মাদকের কারবার চলে আড়ালে চলে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কার বার। অল্প বয়সীদের এসব কাজে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা এই সব কর্ম কান্ড বন্ধের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কশন করেছেন।
এই বস্তির মাদকের ছোবলে ধবংস হয়েছে অনেকের ঘর সংসার কেউ আবার নেশায় আসক্ত হয়ে পথে পথে পাগলের মত বেড়ে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় মুক্তি যোদ্ধা অফিসের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ লিয়াকত আলী বলেন অবৈধ্য ভাবে রেল ওয়ের জায়গা দখল করে বস্তিটি গড়ে মাদক চোরা কারবারীরা।
বস্তিটিতে মাদক কেনা বেচা চলে। স্থানীয় থানা পুলিশ কয়েক বার অভিযান চালিয়ে বস্তিটির মাদকের আখড়া ভেঙ্গে দেয়।
আবার কিছুদিন পর আগেই অবস্থায় ফিরে আসে।
প্রকাশ্যে মাদক বেচা কেনা হয়। যার কারনে আমরা স্কুল কলেজ পড়ুয়া কমল মতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুব চিন্তিত আছি।পাশাপাশি এই বস্তির এহেন কর্মকান্ড বন্ধের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কশন করছি।
এব্যাপারে সার্কেল এ এসপি মিথুন সরকার বলেন মাদকের কোন ছাড় নেই আমি হাকিমপুর থানার ওসিকে এ বস্তির ব্যাপারে বলবো তিনি যেন প্রতিনিয়ত এ বস্তিতে অভিযান পরিচালনা করে এসব কর্ম কান্ড বন্ধ করেন।
হাকিমপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রাফিউল আলম খন্দকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে জানা যায় রেলওয়ের জায়গা অবৈধ্য ভাবে দখল করে বস্তি নির্মান করেছে।এ বিষয়টি আমি রেলওয়ের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।কিছুদিনের মধ্যে এসব অবৈধ্য দখলদার দের উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।