আহত আলীমের দায়েরকৃত মামলাটি ভিন্ন খাতে নিতে মাদক সম্রাটদের দৌড়ঝাঁপ : পরিবারকে হুমকি
কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মহিষ কুন্ডি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহত আব্দুল আলিম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার ঘটনায় পুলিশ ৪নং আসামি লাল চাঁদকে আটক করলেও প্রধান তিন আসামি রুবেল, সুকচাঁদ, হৃদয় এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে। এমনকি আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগির পরিবার। আর এসকল আসামীকে বাঁচাতে দৌড়ঝা্পঁ শুরু করেছে স্থাণীয় মাদক সম্রাটেরা। এমনকি মামলাতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও করছে তারা। আর সব কিছুর পেছনে রয়েছে স্থাণীয় এক মাদকের সেল্টারদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণকারী কথিত বড়ভাই। যার নিয়ন্ত্রণেই চলে দৌলতপুর সীমান্তে মাদক ব্যবসা। তদন্ত করলেই মিলবে তার সত্যতা।
এ বিষয়ে, আহতের আত্বীয়-স্বজন জানায়, মামলা তুলে নিতে আসামীরা ও স্থাণীয় কিছু মাদকব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়তই হুমকি প্রদান করছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানায়, পুলিশ একজন আসামীকে আটক করলেও প্রধান তিন আসামী এখনো প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা চেষ্টা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৩/১০/২০২০ শুক্রবার বিকেলে মহিষকুন্ডি এলাকার আব্দুল আলিম নামের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্য মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী রুবেল হালসানা, হৃদয় হালসানা, সুকচাদ হালসানা, লালচাঁদ হালসানা, সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই তিন জন ব্যক্তি হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল আলীমের বুকের হাড় ভেঙে যায় এবং বেধরক মারধরে জ্ঞান হারায় আব্দুল আলীম। আসামীরা আব্দুল আলিমের মৃত্যু হয়েছে ভেবে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহত আব্দুল আলীমকে উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা আহত আব্দুল আলিমের শারিরিক অবস্থা গুরুত্ব দেখে রাজশাহি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এবিষয়ে গত ২৪শে অক্টোবর আব্দুল আলীমের মা মোছাঃ সুরাইয়া খাতুন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নাম্বার – ৫৯)।