মো.আরিফুল ইসলাম,দেবিদ্বার :
গত ১৯ মে ২০২০ মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ললিতাশার গ্রামের এক অসহায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের উপর হামলার খবর পাওয়া যায়। হামলায় একই পরিবারের সাত সদস্য আহত হয়।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলো নিতাই চন্দ্র দত্ত (৪৮) ও তার মা যুতি বালা দত্ত (৭৫), স্ত্রী শখা রানী দত্ত (৩৫), তার ছেলে তপু চন্দ্র দত্ত (২০), বড় ভাই নিমাই চন্দ্র দত্ত (৫৮), ছেলে সুজন চন্দ্র দত্ত (২৮) ভাগিনা শান্ত দত্ত (১৪) । হামলা শেষে তাদের এলাকা ছাড়ার কথাও বলা হয়। এলাকা ছেড়ে না গেলে স্বপরিবারে তাদের হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
হামলাকারি তালতলা গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর পুত্র মো.কামাল হোসেন (৩৫), মো.গোলাম মোস্তফা(৪৪) মো.জাকির হোসেন ও তাদের দলবল।
হামলার প্রতিকার চেয়ে অসহায় পরিবারটি দেবিদ্বার থানায় মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ললিতাশার গ্রামের নিতাই চন্দ্র দত্তের পানের বরজ (ফসলি জমি) উপর দুইটি গাছ কাটাও সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে কামালদের সাথে। উক্ত বিরোধের জেরে প্রায়ই নিতাই চন্দ্র দত্তের পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার সহ তাদের স্বপরিবারে তাদের নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করে কামালের লোকজন। এমনকি জমি বর্গা চাষের কথা বলে দখলও করে রেখেছে।
এমতাবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে তালতলা গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর পুত্র মো.কামাল হোসেন (৩৫), মো.গোলাম মোস্তফা(৪৪)মো.জাকির হোসেন ও তাদের দলবল নিতাইয়ের পরিবারের উপর হামলা চালায়।
হামলা শেষে তাদের এলাকা ছাড়ার কথাও বলা হয়। এলাকা ছেড়ে না গেলে স্বপরিবারে তাদের হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
অসহায় নিতাই চন্দ্র দত্ত জানান, এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ দায়ের করেও এখন বিপদে আছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আমাদের হুমকি দেয়। আমাদের হিন্দু বাড়িতে ডাকাতির প্রধান আসামি কামাল ডাকাত আমাদের গ্রামের মা-বোনদেরকে একাধিকবার নির্যাতন করেছে। কামালের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে। সে আমাদের মেরে ফেলবে।
আভিযুক্ত কামাল তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিতাই চন্দ্র দত্তের সাথে একটি গাছ কাট নিয়ে একটু সমস্যা আছে। সে বিষয় নিয়ে তাদের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
এ বিষয়ে তদন্ত কারী অফিসার মো.আবদুস সালাম বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যাতা পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.জহিরুল আনোয়ার জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করার জন্য অফিসার পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।