বদলপুরের পাহাড়পুর – মার্কুলি রাস্তার নিকলীর ঢালায় সাঁকো নির্মাণ করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি- বদলপুরের পাহাড়পুর – মার্কুলি রাস্তার নিকলীর ঢালা নামক স্হানে সাঁকো নির্মাণ করে পথচারীদের নিকট থেকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের বিরুদ্ধে।
জানা যায়,
গত বর্ষা মৌসুমে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময় নদীর পানি উঁপচে নালা, কার্লভার্ট ও রাস্তা তলিয়ে গিয়ে এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। এ সময় পানি নেমে গেলে উপজেলার অন্যান্য রাস্তার মত উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত পাহাড়পুর – মার্কুলি ঢালাইকৃত রাস্তা ভেঙ্গে নানা স্হানে খানা-খন্দকে পরিণত হয়। এ ছাড়া অকাল বানের পানির তোড়ে ওই রাস্তার নিকলীর ঢালা নামক স্হানে অনুমানিক প্রায় দীর্ঘ ১৫০ মিটার পরিমাণ রাস্তা ভেঙ্গে গভীর গর্তে পরিণত হয়। এতে করে এলাকার লোকজনের চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। নানা ধরণের ভোগান্তির শিকার হয় বানিয়াচংয়ের মার্কুলি ও আজমিরীগঞ্জের বদলপুরের বাসিন্দারা। এরই ধারাবাহিকতায়, অনুমানিক গত ২ মাস পূর্বে ২নং বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকাশ্য নিলাম ডাকা হয়। সর্বোচ্চ নিলামদাতা অর্থাৎ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ৮০ দিনের জন্য ইজারাদার হিসেবে দ্বায়িত্ব পায়, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন তালুকদার। গত আশ্বিন মাসে ৮০ দিনের মেয়াদ শেষ হলেও অদ্যাবধি অবৈধভাবে অর্থাৎ প্রতি মোটরসাইকেল পারাপারে ৬০ থেকে ৮০ ও পথচারীদের নিকট থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা আদায় করছে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার।
এ ব্যাপারে, সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের প্রতিনিধি ও বর্তমান ইউ,পি সদস্য জগৎ চন্দ্র দাস জানায়, প্রকাশ্যে নিলামের বিষয়টি স্বীকার করেন। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তনজির উল্লাহ সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত রাস্তা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ইজারা দেয়ার কোন নিয়ম নাই। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খাঁন ও বদলপুর ইউ,পি চেয়ারম্যানের সহিত যোগাযোগ করা হলে, মুটোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।