কুষ্টিয়া খোকসার বনগ্রাম চাদট ঘাটে রাতভোর চলছে বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০

কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি,

কুষ্টিয়া জেলার খোকসা বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম চাদট ঘাটে রাতভোর এস্কেভেটর দিয়ে চলছে অবৈধ বালি উত্তোলনের মহাউৎসব। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির প্রদেয় তথ্য মতে জানা যায়, স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের মদদে তাদের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ইতিপূর্বে দিনের বেলায় বালি উত্তোলন করছিল উক্ত মহলটি। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে তা কঠোর হস্তক্ষেপে কিছুদিন বালি উত্তোলন বন্ধ ছিল। হঠাৎ করে তারা কৌশল অবলম্বন করে সন্ধ্যার পর থেকে রাতভোর বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে।
বিগত কয়েক বছর ধরে খোকসা উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলন করে আসছিল। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কিছুদিন তা বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করে নতুন কৌশল অবলম্বন করে এস্কেভেটর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে রাতভর চালিয়ে যাচ্ছে বালি উত্তোলনের কাজ। বিষয়টি প্রতিবেদকের নজরে আসলে গতকাল রাতে ছুটে যাই বনগ্রামে, সেখানে গিয়ে তার সত্যতা মেলে।
বনগ্রাম চাদট ঘাট এলাকার কতিপয় স্থানীয বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই অবৈধ বালি উত্তোলন করে আমাদের চাষের জমি কেটে নিয়ে চাষের অনুপযোগী করে তুলছে এবং বড় বড় গাড়ি চলাতে রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর এই বালি কাটার জন্য আমাদের এলাকায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনেক বার জানিয়েছি কিন্তু তারা সঠিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। তারা আরো বলেন, স্থানীয় সরকারদলীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সকলকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে অবৈধ বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। কেউ অভিযোগ দিলে তার নামও প্রকাশ করে দেয়। পরবর্তীতে তার ঐ সকল নেতাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদেরকে নানাভাবে অত্যাচার করে,‌ এমনকি জীবন নাশের হুমকিও প্রদান করে চলেছে দেয়। তারা এটাও বলেন যে, তারা এতই ক্ষমতাধর ব্যক্তি যে সেনাবাহিনীর কর্নেলের জমি পর্যন্ত দখল করে নেয়, আর আমরা তো তাদের কাছে চুনো পুঠি, এমনকি তাদের ভয়ে এলাকার কিছু লোকজন এলাকায় যেতে পারে না।
এ বিষয়ে খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বালি উত্তোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তবে যদি তারা রাতভোর এভাবে বালি উত্তোলন করে তাহলে আমরা জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিব। বিষয়টির আরো সত্যতা জানতে বেতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি তার রিসিভ করেন নাই




error: Content is protected !!