নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজস্ব প্রতিনিধি-আজমিরীগঞ্জে বহু অপকর্মের হোতা ডাকাত আলী ইসলাম (৩৮) এবং তার সহযোগী মোশারফ(৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় আলীর আরো দুই সহযোগী পুলিশের উপস্হিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। আটক আলী ইসলাম নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি থানার পাচহাটের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। এবং মোশাররফ কিশোরগঞ্জ জেলার মিটামইন থানার খৈশর গ্রামের আস্কর আলীর ছেলে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, একটি চাকু, এবং নগদ ২৬ হাজার ২শত ৫০ টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা।
জানা যায়,
বিগত কয়েকদিন পুর্বে ডাকাত আলী ইসলাম ইটনা থানার চৌভাঙ্গা ইউনিয়নের কমলভোগ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলামের ছোট ভাইয়ের কাছে নিজেকে বড় গৃহস্হের সন্তান পরিচয় দেন এবং নিজেরা কৃষি কাজ আর করবেনা বলে নিজেদের ব্যবহৃত চাষের মেশিনারীজ বিক্রীর প্রস্তাব দিয়ে নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে আসে। ওই সুত্র অনুসারে সাইফুল ইসলাম গত শুক্রবার রাতে ডাকাত আলী ইসলামের মোবাইল ফোনে মেশিনারীজ ২৫ টাকা কেজি দরে কিনতে দাম নির্ধারন করেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ শনিবার সকালে সাইফুল এবং তার বন্ধু ইটনা থানার চৌভাঙ্গা ইউপির মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়াকে সাথে নিয়ে আজমিরীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দুপুরের দিকে আজমিরীগঞ্জে পৌছান। এ সময় পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ডাকাত আলী ইসলাম এবং তার ৩ সহযোগীরা সাইফুল এবং ফারুক মিয়াকে তাদের নৌকায় উঠিয়ে নদী পথে আজমিরীগঞ্জের উজানে রওনা হয়। পথিমধ্যে আজমিরীগঞ্জের নয়ানগর সংলগ্ন পৌঁছামাত্র ডাকাত আলী ইসলাম, সাইফুলের কাছে টাকা দাবি করলে বেঁকে বসেন সাইফুল। সাইফুল বলেন, মাল ওজন না করে তিনি টাকা দিবেন না। বিভিন্ন কৌশলে ব্যর্থ হয়ে ডাকাত আলী ইসলাম নিজের ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করে সাইফুলের কপালে ঠেকিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি দেন তখন আলীর অপর দুই সহযোগী সাইফুল এবং ফারুকের গলায় চাকু ঠেকিয়ে তাদের সাথে থাকা ৮৫ হাজার ৫শত টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং সাইফুল ও ফারুকে বেধরক মারপিট করেন।
এরই এক পর্যায়ে ডাকাত আলী ইসলাম এবং তার সহযোগীরা নদীর তীরে নৌকা নোঙ্গর করে সাইফুল ও ফারুককে নামিয়ে দেয়।
তখন সাইফুলট নদীর তীরে কৃষিজমিতে কাজ করা কয়েকজন কৃষককে ঘটনাটি জানায়। তখন তারা ডাকাত আলী ইসলামকে ধাওয়া করলে সে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পর সে জনতার হাতে আটক হয়। এদিকে খবর পেয়ে এস আই জয়ন্ত কুমার তালুকদার ডাকাত আলী ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অপর দিকে আলী ইসলামের সহযোগী মোশাররফ নৌকা নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় কাকাইলছেও নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আওলাদ হোসেন ধাওয়া করে নৌকা সহ মোশারফকে আটক করেন। এ সময় ডাকাত আলী ইসলামের অপর দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
এদিকে ডাকাত আলী ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর তার অপকর্মের শিকার অনেক ভুক্তভোগী মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
আটক ডাকাত আলী ইসলাম বিভিন্ন সময়ে একই কায়দায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে পালিয়ে যায়। এমনকি দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন জেলায় ও এ ধরণের কর্মকান্ড করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে ঘটনার স্বীকার ভুক্তভোগী বাদি হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।