নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে কালিয়া উপজেলার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রতিপক্ষের হমলায় নিহত হয়েছেন কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য কাউয়ুম সিকদার। এসময় তার সাথে থাকা নড়াগতি থানা কৃষকলীগের সভাপতি হাসনাত মোল্যার হাত ও পায়ের রগ কর্তন করেছে দূর্বত্তরা !এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার বিলাফর গ্রামের হাসমত আলী শিকদারের ছেলে কাউয়ুম মিকদার। মঙ্গলবার (২৬মে) রাতে কালিয়া উপজেলা থেকে কাউয়ুম শিকদার ও মোল্যা আবুল হাসনাতসহ ৫/৬ জন মটর সাইকেল যোগে কলাবাড়িয়া ফেরার পথে ৯টার দিকে কালিনগর বোয়ালিয়ার চর মন্দিরের কাছে পৌছুলে দূর্বত্তরা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে কলাবাড়িয়া ইউপি সদস্য কাইয়ুম সিকদারের হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং হাসনাত মোল্যার হাত ও পায়ের রগ কর্তন করলে হাসপাতালে নেবার পথে কাইয়ুম সিকদার মারা যান। মারাত্মক আহত হাসনাত মোল্যা কে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে,মতিয়ার মল্লিক ও সজীব মল্লিক কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করানো হয়!এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে !পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামটিতে কলাবাড়িয়া ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েস সমর্থিত মুরসালিন মোল্যা গ্রুফ ও উপজেলার নড়াগাতি থানা কৃষক লীগের সভাপতি হাসনাত মোল্যা গ্রুফের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ঈদের আগে শনিবার (২৩মে) সন্ধ্যায় মুরসালিন গ্রুফের লোকজন হাসনাতের চাচাতো ভাই বিলায়েত মোল্যা (৪০) ও তকির মোল্যাকে (৩৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপি দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে অন্ততঃ ২৫টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেছেন, খুনিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।গ্রুফের লোকজন হাসনাতের চাচাতো ভাই বিলায়েত মোল্যা (৪০) ও তকির মোল্যাকে (৩৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপি দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে অন্ততঃ ২৫টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেছেন, খুনিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।