মোঃ আশাদুল ইসলাম কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে চলছে নির্বাচনী গরম আবহাওয়া।
পৌর নির্বাচনক ঘিরে চলছে চায়ের দোকান,হোটেল রেস্তরায় সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে পক্ষে বিপক্ষে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা। আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে পাঁচজনের নামের তালিকা উপজেলা ও জেলার সুপারিশ কেন্দ্রের হাই কমান্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। এসব প্রার্থীরা দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রের হাইকমান্ড কাছে জোর তদবির চালাচ্ছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদ গত পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দুই দফা মেয়র নির্বাচিত হন।বর্তমানে আওয়ামীলীগের সমর্থন পেতে পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী। তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়ায় পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিং চালাচ্ছেন। কোটচাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান সেলিম গত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। তিনি এবারও দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছেন। সহিদুজ্জামান সেলিম দাবি করেন, গতবার আমি সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছি,ইনশাআল্লাহ এবার দলীয় নমিনেশন পেলে সাধারন ভোটার গন আমাকে নির্বাচিত করবে। এছাড়াও পৌর আঃলীগ নেতা কাজী আলমঙ্গীর ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে ১৪ দলের একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চার-দলীয় জোটের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। তিনি বরাবর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আছেন। কাজী আলমঙ্গীর দাবি করেন, ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে এই পৌর এলাকার আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১০ হাজার ভোট পেয়েছিল।
সেখানে ২০১১ সালের পৌর নির্বাচন করে ভোট পেয়েছি ৭৮৫। অন্যদিকে সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মীর কাসেম আলী, তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের দাবিদার একজন। এর আগেও তিনি উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে ২ হাজার ভোটে পরাজিত হন। অন্যদিকে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র সালাউদ্দিন বুলবুল মাঠে আছেন। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশা করছেন।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি এখানে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।