কলাপাড়ায় পাথওয়ে এবার অসহায় ও দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র হাতে তুলে দিলো ॥

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০

রাসেল কবির মুরাদ,পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ

কলাপাড়ায়
বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থার পাথওয়ের স্বেচ্ছাসেবীরা বসে নেই। হাড়াকাঁপানো
শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্থ জনজীবন। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে অসহায় ও দরিদ্র
মানুষ ঘরে থেকে বের হতে পারছেনা। এরমধ্যে দু’দিন ধরে বৃহস্পতিবার ও
শুক্রবার চম্পাপুর ইউনিয়নের সাগরের মোহনায় রাবনাবদ নদী সংলগ্ল এলাকায়
অসহায়, দরিদ্র শীতার্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে
তারা। এ কর্যক্রমে পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মো: শাহিন, স্থানীয় ইউনিয়ন
পরিষদ চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার, ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, শিক্ষক
মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো: বাসেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থার পাথওয়ের সূত্রে জানা গেছে, মহিপুর কো-অপারেটিম
মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বুধবার দুপুরে জেলে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা) ও অসহায়
হতদরিদ্র দুই শতাধীক শীতার্থ পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
আগেরদিন রাতে লতাচাপলী ইউনিয়নের গোড়া আমখোলা পাড়ায় রাখাইন পল্লীর প্রতিটি
পরিবারের মাঝে একটি করে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ হয়। এছাড়া একটি কেরাতুল
হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দেয়া
হয়েছে। সর্বশেষ গত দু’দিন ধরে চম্পাপুর ইউনিয়নের সাগরের মোহনায় রাবনাবদ
নদী সংলগ্ল পাটুয়া, গোলবুনিয়া ও মাছুয়াখালী এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষের
বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে পাথওয়ের সেচ্ছাসেবী কর্মীরা।
তীব্র শীতে হাতে শীতবস্ত্র পেয়ে খুশি সহায়-সম্বলহীন মানুষরা।

চম্পাপুর ইউনিয়ন গোলবুনিয় গ্রামের বৃদ্ধ হানিফ মাঝি বলেন, বাইরে ঠান্ডা
বাতাস, শীতে মোনে হয় মইরাই যামু, মোগো খবর কেউ নেয় না। হাতে কম্বল পেয়ে
বেজায় খুশি। ঐ এলাকার ছকিনা বেগমের বাড়ি গিয়ে পাথওয়ের সেচ্ছাসেবী কর্মীরা
তার হাতে একটি কম্বল তুলে দিলে তিনি বলেন, নদীর পাড়ে থাহি, বেড়ার ফাক
দিয়া বাতাস ঢোকে। রাইতে ছিড়া খাতা প্যাচাইয়া থাকি তবে এ্যাহন এই কোম্বলডা
প্যাচাইয়া থাকতে পারমু।

চম্পাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, এ ইউনিয়নে এই
কার্যক্রমের জন্য বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়েকে ধন্যবাদ, শীত নিবারণ
করার সম্বল যাদের নেই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের হাতে শীতবস্ত্র তুলে
দিয়েছেন তারা।

পাথওয়ে’র নির্বাহী পরিচালক মো: শাহিন বলেন, পাথওয়ে একটি বে-সরকারী উন্নয়ন
সংস্থা। ইতির্পর্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত গণমাধ্যম কর্মীদের ফ্রী
এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করে ছিলাম। এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের
হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে পরিবহন সেবাসহ মৃতদের লাশ দাফনের
কাজ করেছে পাথওয়ে। পাথওয়ে সংকটাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাই এ শীতে
জেলে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা), অসহায়, দরিদ্র ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু
শিক্ষার্থীদের মাঝে এক হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে এবং এ কার্যক্রম
অব্যহত থাকবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।




error: Content is protected !!