রাসেল কবির মুরাদ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে মহিপুরের ১৮ জেলে মাছধরা ট্রলারসহ প্রায় ১মাস ধরে নিখোঁজ
রয়েছে। বৃহস্পতিবার নিখোঁজ জেলে পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হয়।
নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেন, লতাচাপলী ইউনিয়নে মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের ট্রলারমাঝি মো: নজরুল ইসলাম (৬৪) (নজির মাঝি), মহিপুর সদর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের আল-আমিন (২১), বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোট বগি এলাকার শাকিল
(১৪), শামিম (৩৮), তোফাজ্জেল হোসেন ফকির (৫২), রমজান তালুকদার (৫০), শাহ
আলম (৪০), আ.আজিজ (৪৩), খলিল (৩৯), হোচেন (৩৮) এবং লক্ষীপুর জেলার রামগতি
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাফিজুল্লাহ (৫০), কাশেম (৫০), ইউসুফ (৪২), বাবুল (৪২), আবুল কাশেম (৪২), কবির হোসেন (৪২), বাবলু (৪২) ও শ্রী জগানাত (৪৮)।নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা জানান, গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এফবি আল-হাসান
নামের ওই মাছধরা ট্রলারটি মৎস্য বন্দর মহিপুর মেসার্স মনোয়ারা ফিস ঘাট থেকে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার পর থেকে ট্রলারের জেলেদের সাথে ট্রলার মালিক ও
স্বজনদের কোন যোগাযোগ হয়নি। এসব জেলে পরিবারের স্বজনদের কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে।ট্রলারে নিখোঁজ নজরুল মাঝির ছেলে মো: নাছির জানান, ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা মায়ানমার ভেসে যেতে পারে অথবা
ডাকাতদের কবলে পড়েছে কিনা এটি তারা নিশ্চিত নয়।
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমবায়-সমিতির সভাপতি মো: আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখে কোস্টগার্ড ও
নৌবাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এছাড়াও দেশের সম্ভাব্য বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, নিখোঁজ জেলেদের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডাইরী হয়েছে। প্রয়োজনীয় খোঁজখবর ও
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।