এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
বিদায়ী বছরের করোনা ভাইরাস বিষন্নতাকে ছাপিয়ে মনকে উৎফুল্ল করে তোলে নতুন বছরের আগমনী বার্তা। ক্যালেন্ডারের শেষ পাতাটি ছিঁড়ে একসঙ্গে উচ্চারিত হয় হ্যাপি নিউ ইয়ার। নতুন দিনের সূচনা, নতুন করে পথচলা। নতুন প্রাণ চাঞ্চল্যতা, নতুন শপথ সব কিছুই যেন একাকার হয় বছরের প্রথম দিনটিতে এসে। অতীতকে মুড়িয়ে দিয়ে নতুন এক সময়কে বরণ করে নেয়ার শিহরণই যেন অন্যরকম। প্রতি মূহুর্তেই চলে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি। বন্ধু প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন বছরের পথ চলা।
পুরোনো গ্লানি মুছে নতুন ভাবে বাঁচার প্রত্যয়ে যেমন শুরু হয় বাংলার নববর্ষ। ঠিক তেমনি ইংরেজী মাসের শেষে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয় থার্টি ফাস্ট নাইট। বছরের শেষ এ দিনটিতে পুরো বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয় নববর্ষের উৎসব। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক বারোটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে সুর ও সঙ্গীতের মূর্ছণায় মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। আতশবাজির আলোকছঁটায় ছেয়ে যায় আকাশ। শুরু হয় প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো। একে অপরকে উপহার আদান প্রদানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই পালন করা হয়ে থাকে ইংরেজী নববর্ষ। তাই ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২ বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সমম্বরে চিৎকার করে ওঠে সবাই বলে ……….হ্যাপি নিউ ইয়ার!
বিশ্ববাসীর পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষও একত্মতা ঘোষণা করে বরণ করে নেয় দিনটিকে
আমাদের দেশে প্রিয়জনকে ফুল, মিষ্টি, নানা ধরণের গিফট আর কার্ড প্রদান করে নতুন বছরকে উইশ করা হয়। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে তরুণ-তরুণীরা।
এছাড়া আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের। গান, নাচ, আলাপ-চারিতা, উপহার আদান প্রদান আর বাহারী পোশাক পরে ঘুরে বেড়ানোই মুখ্য বিষয় হয়ে উঠে দিনটিকে কেন্দ্র করে।
নতুন বছর শুভ হোক, পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই ভাল থাকুক, নতুন বছরের প্রতিটি দিন হোক আনন্দময় এটাই প্রত্যাশা। সবাইকে ইংরেজি শুভ নববর্ষ ২০২১খ্রিষ্টাব্দের অনেক অনেক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন।
শুভেচ্ছান্তে মোঃস্বপন হোসেন
সভাপতি, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ।