নবীগঞ্জে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে কাজ করছে বর্তমান সরকার
এম.মুজিবুর রহমান নবীগন্জ প্রতিনিধিঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মান উন্নয়ন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো ও স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী,জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, মাতৃকালীন ভাতাসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। গৃহ ও ভূমিহীন অসহায় দারিদ্র মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকার নিজ অর্থায়নে খাস ভুমিতে বাড়িঘর নির্মান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ দেশের জন্য এক বিরল দৃষ্টান্ত এবং ইতিহাস। অতীতের কোনো সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেনি কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত ভাতা প্রদান করছে এবং ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে।
বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুধি সমাবেশে হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবুর সভাপতিত্বে ও কুর্শি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হাসান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ এমপি। বক্তব্য রাখেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুকিত চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক শাহ আবুল খয়ের, সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী প্রমুখ। সুধি সমাবেশের পূর্বে কুর্শি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মিজানুর রহমান ও গীতাপাঠ করেন অমেলেন্দু সূত্রধর। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ৷