কুতুপালং ক্যাম্পে ম্যজিস্ট্রেট সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর রোহিঙ্গাদের হামলা আটক-১
ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্প-২ ইস্ট ম্যজিস্ট্রেট সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর রোহিঙ্গারা হামলা চালিয়েছে। এসময় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়লে আনসার সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। গোলাগুলির সময় এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে আনসার বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বেলা ১২ টা ৪৫ মিনিটের সময় এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা কুতুপালং-২ ইস্টে সরকারি বনভূমি দখল করে প্রশাসনের অনুমতি বিহীন শতাদিক দোকান শেড নির্মাণ করছে। খবর পেয়ে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) মোঃ খলিলুর রহমান খান আনসার সদস্যদের নিয়ে অবৈধ দোকান, শেড উচ্ছেদ করতে যায়। তখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জড়ো হয়ে প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পরে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে আনসার সদস্যরা ৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হয়। তাদেরকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে নাম পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ঘটনা সম্পর্কে কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশের (আইসি) মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্প ইনচার্জ আনসার সদস্যদের নিয়ে অবৈধ নির্মিত দোকান-পাট উচ্ছেদ করতে গেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ইট-পাটকেল, গুলি বর্ষণ করেছে বলে শুনেছি। তবে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে ইনচার্জ (সিআইসি) মোঃ খলিলুর রহমাস খান বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ক্যাম্পে কোন প্রকার ঘর, দোকান-পাট নির্মাণ করতে পারবে না রোহিঙ্গারা। সেই নিয়ম না মেনে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং-২ ইস্ট ক্যাম্পে শতাধিক সেমিপাঁকা দোকান শেড নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। আনসার সদস্যদের নিয়ে উক্ত অবৈধ দোকান, শেড উচ্ছেদ করতে গেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কলিম উল্লাহ এবং জাবের আহমদের নেতৃত্বে শতাধিক রোহিঙ্গা অাকস্মমিক আমাদের উপর ইটপাটকেলসহ গুলি বর্ষণ করে। এসময় আমরাও আত্মরক্ষার্থে ৬ রাউন্ড গুলি বর্ষন করি। তিনি আরো জানান,অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত বশির আহমদ নামের এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। সে কুতুপালং-২ ওয়েস্টের বাসিন্দা গুরা মিয়া ছেলে।
রোহিঙ্গাদের এমন বেপরোয়া হয়ে ওঠা নিয়ে স্থানীয়দের জনমনে আতংক বিরাজ করছে। গত রমজান মাসে তারা তিনজন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ আমরা নিজেদের জায়গাদিয়ে ঘর তৈরি করে দিয়েছি। সামান্য বিষয় নিয়ে আমাদেরকে মারতে তেড়ে আসে। এখন আমরা নিজ দেশে যেনো পরদেশী। আমরা উখিয়া-টেকনাফবাসীর আবেদন এ দুধর্ষ প্রকৃতির রোহিঙ্গাদেরকে অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা হোক।