এ জি মুন্না, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
আগামী সপ্তাহে প্রথম পর্যায়ে ৬০ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আসবে নীলফামারীতে। ডোজগুলো আসার আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ তা সংরক্ষণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সারা দেশের ন্যায় ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে একযোগে এজেলাতেও ভ্যাকসিন দেয়া হবে। ইতোমধ্যে এ ভ্যাকসিন যাদেরকে দেয়া হবে সে তালিকাও প্রস্তুত করছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী সদরসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রেগুলোতে ভ্যাকসিনগুলো সংরক্ষণ করা হবে এবং ওই কেন্দ্রগুলোতে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা ১৫ ক্যাটাগরির ভিত্তিতে একটি তালিকা করেছেন। তালিকায় রয়েছেন পেশাজীবী, বয়স্ক ও রোগীসহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে তালিকা অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এসব কেন্দ্রে ২জন করে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত থাকবেন।
নীলফামারী সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর কবির জানান, করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণে বাড়তি কোনও ঝামেলা পোহাতে হবে না। সংরক্ষনের জন্য যে তাপমাত্রার দরকার (২.৮ডিগ্রী সেলসিয়াস) তা যথেষ্ট রয়েছে। বর্তমানে হাম-রুবেলা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শেষের দিকে। আর করোনার ভ্যাকসিন সেই রেফ্রিজারেটরে রাখা হবে। পরবর্তীতে টিকার প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরি জানান, জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যকে উপদেষ্টা করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি দায়িত্বে রয়েছি আমি ও সদস্য সচিব করা হয়েছে জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর কবির কে। এ কমিটি ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও প্রয়োগ কার্যক্রম তদারকি করবে