নবীগঞ্জে গরু চুরির তথ্য উদঘাটনে আদালতে থানার পুলিশের ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন।
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
অন্য জেলা থেকে গরু চুরি করে ৪টি গরুসহ দুই চোর আটক হলেও আজ ১০ দিন অতিবাহিত হল প্রকৃত চোর বা তার সাথে স্থানীয় এলাকার সংশ্লিষ্ট চোরদের নাম ও পরিচয় উদঘাটন হয়নি। থানা পুলিশ মামলার স্বার্থে আটককৃত দুই চোরকে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে। অপরদিকে চোরদের রিমান্ডে এনে তার সাথে জড়িত স্থানীয় চোরদের পরিচয় ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। মামলার সুত্রে ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে-গত ৫ফেব্রুয়ারি রাতে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের রঘু দাউদপুর গ্রামের মৃত মছিদ উল্লার পুত্র মহব্বত মিয়ার ৪টি গরু চুরি হয়। পরদিন চুরি হওয়া ৪টি গরু উদ্ধার ও ২চোরকে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানা পুলিশ আটক করে। খবর পেয়ে মালিক মহব্বত মিয়া নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় রাজনগর থানা পুলিশের কাছ থেকে চুরি হওয়া ৪ টি গরু ও আটককৃত ২চোরকে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের জিম্মায় আনে। পরে গরুর মালিক সংশ্লিষ্ট আইনে আটককৃত ২চোর মৌলভীবাজার জেলার সদর থানার খলিলপুর ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামের মৃত মখলিছুর রহমানের পুত্র আবু আহমদ (৪৫) ও একই জেলার রাজনগর থানার মনসুরনগর ইউনিয়নের মালিকোনা গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র মুজিব হাসান (৩২) কে আসামী করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে নবীগঞ্জ থানায় গত ৭ফেব্রুয়ারি মামলা নং-৫ দায়ের করেন। নবীগঞ্জ থানা পুলিশ আটককৃত ২চোরকে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ বিচারকের কাছে সোপর্দ করে। বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে-মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল ওয়াদুদ জানান-চুরির সাথে স্থানীয় লোকদের সম্পৃক্ত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটনে ৫দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় গিয়ে আরও জানা গেছে-বিগত কয়েক মাস পূর্বে রঘু দাউদপুর গ্রামের মৃত কাপ্তান মিয়ার পুত্র মোঃ টিপু মিয়া, মৃত তাজু মিয়ার পুত্র তাহিদ মিয়ার গরু চুরি হয় এবং তালেব মিয়া একটি গাভী চোরেরা ছুরিকাঘাত করে নাড়িভুরি বের করে ফেলে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মসজিদের মোতাওয়াল্লি বলেন-গ্রামবাসী খুবই বেকায়দায়। কারন এলাকার চিহ্নিত চোরদের সিন্ডিকেট এর কাছে জিম্মি রয়েছেন।তারা প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঈদগাহ কমিটির সভাপতি বলেন-ইতিপূর্বে ওই এলাকার হারুন মিয়ার পুত্র এলাকা ছাড়া তোফাজ্জল ইসলাম, মৃত রব্বুল মিয়ার পুত্র বকুল,ও মৃত জমাদার মিয়ার পুত্র ছমদু মিয়ার নাম বিভিন্ন চুরি ও অপকর্মের সাথে সন্দেহ জনমনে ঘুরপাক হলেও কেহ সাহস করে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ। এলাকার সচেতন মহলদের দাবি-ইতিপূর্বে যাদের গরু চুরি হয়েছে কিন্তু উদ্ধার হয়নি-যেহেতেু মহব্বত মিয়ার চুরি হওয়া ৪টি গরুসহ আন্তঃজেলার ২চোর আটক হয়েছে তাই থানা পুলিশ ২চোরকে রিমান্ডে এনে চুরির সাথে সংশ্লিষ্টদের তথ্য উদঘাটন করতে পারবে। নতুবা প্রকৃত চোরেরা আড়ালে থেকে তাদের অপকর্ম করে যাবে।