নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত।

প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১

মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা ও দলের মধ্যে চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।এই স্থগিতাদেশ উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জন্যেও প্রযোজ্য।দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় হাইকমান্ডের নির্দেশে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার রাতে জানান জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম।তিনি বলেন, ‘দলীয় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও কেউ কোনো ধরনের রাজনৈতিক উসকানিমূলক স্ট্যাটাস বা বক্তব্য দিতে পারবে না।’এদিকে, সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের হত্যার মামলাটি মঙ্গলবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়েছে।পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে পিবিআইকে মামলার তদন্তভার দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন।
বসুরহাটে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি জানান, পিবিআই নোয়াখালীর পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল মঙ্গলবার বিকেলে মুজাক্কির হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ মুজাক্কিরের মৃত্যুর তিন দিন পর মঙ্গলবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়। আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ নোয়াখালীর স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বসুরহাটের মেয়র কাদের মির্জার আপত্তিকর নানা মন্তব্য নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তাল নোয়াখালীর রাজনৈতিক অঙ্গন।কাদের মির্জা ১৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।এরপর ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ‘মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়া শুরু করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।এর জেরে গত শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়।এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। গুলিতে তার মুখের নিচের অংশ এবং গলা ঝাঁজরা হয়ে যায়।ওই দিন রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মুজাক্কিরকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও বার্তা বাজার ডটকমের নোয়াখালী প্রতিনিধি ছিলেন।




error: Content is protected !!