নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি।
পৌর ভবন নির্মাণ, ১২০ কোটি টাকার পানি শোধনাগার সহ নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প ও রাস্তা নির্মাণে বাধা প্রদান সহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু জাফর টিপু।বুধবার দুপুরে সেনবাগ পৌরসভা কার্যালয়ে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র বলেন ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেনবাগ পৌরসভার দ্বিতীয় নির্বাচিত মেয়র হিসেবে ৬ জুন ২০১১ সালে ১ম ও ২ জুলাই ২০১৬ সালে ২য় মেয়াদে মেয়রের দ্বায়িত্ব নিয়ে সুনামের সহিত দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি।পৌরসভার নিজস্ব ভবন না থাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে দাপ্তরিক কাজ কর্ম করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।এমতাবস্থায় ২০০৩ সালে তৎকালীন মেয়র মরহুম শাহ আলম চৌধুরী জেলা প্রশাসক নোয়াখালী কতৃক ১ একর ৫৭ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করে পৌর ভবন নির্মাণে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের হিসাব খাতে ১৩লক্ষ ৯৩ হাজার, ৪০৫ টাকা পরিশোধ করেন।২০০৪ সালে জেলা প্রশাসক অধিগ্রহণকৃত ভূমি সেনবাগ পৌরসভার অনুকূলে হস্তান্তর করেন এবং ভূমি মালিকদের জমির মূল্য বুঝিয়ে দিতে পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু ভূমি মালিকগণ স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে মূল্য গ্রহন না করে মামলা দায়ের করেন এবং পরে উক্ত মামলা মহামান্য হাইকোর্টে স্থানান্তর করেন।মহামান্য হাইকোর্ট কোন নিষেধাজ্ঞা না দেয়ায় অধিগ্রহণ কৃত ভূমিতে পৌর ভবন নির্মাণ ও ১২০ কোটি টাকার সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিতে পানি শোধনাগারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে অশুভ শক্তির ইন্ধনে ভূমি মালিকগণ বাধা সৃষ্টি করে।সম্প্রতি পানি শোধনাগার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলে রাতের আঁধারে দুস্কৃতিকারিরা তা ভেঙ্গে ফেলে।এ ছাড়াও কিছু কিছু যায়গায় রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়েও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।তাই পৌর এলাকার মানুষের কল্যাণে উন্নয়ন প্রকল্প গুলি বাস্তবায়নে তিনি উপজেলা প্রশাস, থানা প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেনবাগ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জামান উল্যা, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক বাবুল,বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ১ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, প্যানেল মেয়র ২ খোরশেদ আলম,পৌরসভার সচিব জাকির উদ্দিন, বিএনপি নেতা সুজন চৌধুরী, যুবদলের আহবায়ক সুলতান সালাউদ্দিন লিটন, পল্লী বিদুৎ সমিতির পরিচালক আশ্রাফুল আলম রানা, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী ফুটন, পৌর যুবলীগের আহবায়ক দিদারুল আলম দিদার,পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।