মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) বিকালে থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে তা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।নিহত ব্যক্তির নাম আলাউদ্দিন (২২)। তিনি কোম্পানীগঞ্জের চারকালী গ্রামের মইনুল হকের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বাদল গ্রুপ অনুসারি।নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহীউদ্দিন আবদুল আজিম একজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মার্চ বসুরহাটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াতকে আহত করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে মানববন্ধন করে ‘বাদল গ্রুপ’। এ সময় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা ওই মানবন্ধনের দিকে এগিয়ে যাবার সংবাদ পৌঁছালে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে বাদল সমর্থকরা পৌর কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করা মির্জাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন। সব মিলিয়ে আহত হয় প্রায় ৫০ জন। আহতরা হলেন- মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩৫), উদ্দিন (৩০), আলাউদ্দিন (২৮), মাইন উদ্দিন বাবু (৪০), সোহেল (২২), জাকির হোসেন রিদয় ( ২৬), রাফাত (২২), শাহাদাত হোসেন হৃদয় (২৪), সবুজ (২১), রিপন (২৮), নরুল ইসলাম মানিক (৩৭)।কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হৃদয়কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।এরআগে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সন্ধ্যায় দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো বসুরহাট বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি, চার পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। এ সময় পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।