মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে আগামি ১০ দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টায় দ্রুত বিচার আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের স্ত্রী আরজুমান পারভীন। মামলায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৯৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন গত ৮মার্চ সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে। এ ঘটনায় মামলার বাদী আরজুমান পারভীন কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এ কারণে মঙ্গলবার সকালে দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আরজুমান পারভীন।দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুানালের বিজ্ঞ বিচারক শোয়েব উদ্দিন খান দুপুরে মামলাটির শুনানি শেষে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে আগামি ১০ দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।এর আগে, সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে মির্জা কাদেরকে প্রধান আসামি করে ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করেন খিজির হায়াত খানের স্ত্রী ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন। পরে একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজান বাদীর শুনানী শেষে বাদীকে আবেদনটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দায়ের করার পরার্মশ দেন।