কুয়াকাটা সৈকতের বালিয়াড়িতে “মেয়র নাইট” মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছে পযর্টকরা ॥
রাসেল কবির মুরাদ ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ
পযটন নগরী সমুদ্র
সৈকত কুয়াকাটার বালিয়াড়িতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে উঠছে পযর্টকরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি উন্মুক্ত মঞ্চে সুরের মুর্ছনায় আগত
পযর্টকদের মাতিয়ে তুলেন স্থানীয় ও আগত অতিথী শিল্পীরা আর গানের ফাঁকে
ফাঁকে চলে স্থানীয় রাখাইন শিল্পীদের নৃত্যানুষ্ঠান। মঙ্গলবার রাতে বালু
ভাস্কর্যের পাশে উন্মুক্ত মঞ্চে ছোট নকুল নামের তাপস মজুমদার, বাংলাদেশ
টেলিভিশনের নতুন কুড়ি শিল্পী নওমি আক্তারের একাধিক গানের সাথে সৈকতে
উল্লাসে মেতে ওঠে আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা। এছাড়াও কুয়াকাটার শিল্পী
গোষ্টির ওস্তাদ রেজাউল করিম, ইমন ও আশিক সৈকতের বালিয়াড়ির উন্মুক্ত মঞ্চে
সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পরিবেশিত গান ও কবিতায় মন
কাড়ে শ্রোতা, দর্শক ও পযর্টকদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালু দ্বারা নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাশে
অনুষ্ঠিত এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকের ভীড়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে ১০
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পটুয়াখালী জেলা পুলিশ ও কুয়াকাটা
পৌরসভা। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত এ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন শিল্পীরা
সংগীত পরিবেশন করবেন বলে জানিয়েছে কুয়াকাটা শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচালক
হোসাইন আমির।
সৈকতে বেড়াতে আসা পযটক নয়ন সিকদার বলেন, সাগরেপাড়ে মৃদু বাতাস আর
উন্মুক্ত মঞ্চে সংঙ্গীত, রাখাইন শিল্পীদের নৃত্য উপভোগ এটা দারুন আনন্দ
দিয়েছে। সারাদিন বন্ধুদের নিয়ে ঘোড়াঘুড়ি-ক্লান্তি যেনো এখানেই শেষ হয়েছে।
আনুষ্ঠান শেষে ঢাকার শিল্পী নওমি আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, একদিকে
সমুদ্রের নির্মল বাতাস অন্যদিকে মাথার উপরে চাঁদের আলো। দেশের বিভিন্ন
এলাকায় গান করেছি তবে সৈকতে দাঁড়ানো এতে পযর্টকের সামনে পারফর্ম করা এই
প্রথম। খুবই ভাল লেগেছে। ছোট নকুল নামের তাপস মজুমদার বলেন, নকুল কুমার
বিশ্বাস একজন গায়ক। গান লেখেন, সুর করেন। তারই গান মত গান গাওয়ার চেষ্টা
করেছি। দর্শক ও শ্রোতাদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
কুয়াকাটার শিল্পী গোষ্টির পরিচালক হোসাইন আমির বলেন, পযর্টকদের আকৃষ্ট
করার লক্ষ্যে স্থানীয় রাখাইন শিল্পীরাও এ উন্মুক্ত মঞ্চে নৃত্য করেছে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানের শুরু থেকে আমাদের শিল্পীর পাশপাশি দেশের বিভিন্ন
শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেছেন। ২৬ মার্চ পযর্ন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ন
পরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠান সম্পন করতে পারবো বলে আশা করি ।
কুয়াকাটা পৌরমেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ ও
কুয়াকাটা পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে বালু ভাস্কয লাগোয়া সৈকতের নির্মিত অস্থায়ী
মঞ্চে টানা ১০ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২৬
মার্চ পযর্ন্ত এ অনুষ্ঠান চলবে বলে তিনি জানান।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: সোহরাব হোসেন
বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সবর্দা পযর্টকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া
সৈকতে নির্মিত বালু ভাস্কযসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলেতে পুলিশি টহল
অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।