মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনায় থমকে আছে গোটা বিশ্ব। সেখানে বাংলাদেশে তুলে দেয়া হয়েছে লকডাউন সীমিত আকারে খোলা হয়েছে অফিস আদালত। আর সেটাকেই পুজি করে চলছে অনিয়ম। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত করা হয়। সীমিত আকারে লকডাউন তুলে দেয়াই সীমিত আকারেই শুরু হলো নিম্ন আয়ের মানুষের সীমাহীন কষ্ট। করোনা ক্রান্তি কালেও চলছে কিস্তি আদায়।
গত ১ তারিখ থেকে সরকারের সিদ্ধান্তেই খুলছে সীমিত আকারে লকডাউন। বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের সাধারন মানুষ। সরকারী নির্দেশ না মেনে বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তি চাওয়া শুরু হয়ে গেছে বলে সুত্রে জানা গেছে ।
এদিকে লকডাউনে দিনমুজুর ও নিম্ন আয়ের সাধারন মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা এর মধ্যেই দিতে হবে ঋণের কিস্তি। বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের সাধারন মানুষ। ঠিক মত দু’বেলা দুমুঠো ভাত খেতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তার ওপর মরার উপর খাড়ার ঘা।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায় খুলনা ফুলতলা উপজেলার গিলাতলা, শিরোমনি, যোগিপোল, মশিয়ালি,মাত্তমডাঙ্গা গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এনজিও কর্মী গরীব ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায় করছে।
করোনাভাইরাসে মানবিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে মানুষ এখন চরমভাবে বিপন্ন। এই বিপন্ন মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে তারা উল্টো তাদের ওপর আরও জুলুম তৈরি করেছে। অসহায় মানুষ জীবন বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আর সেখানে ঋণের কিস্তি আদায় সত্যই বিরল।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ অতি দ্রত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশা করেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের সাধারন মানুষ।