কলাপাড়ায় লকডাউনের কারনে তরমুজের বাজার ক্রেতা শুন্য, আর্থিক সংকটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ॥
রাসেল কবির মুরাদ ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ায় ক্রেতা সংকটের কারনে ব্যাপক আর্থিক লোকসানের মূখে পড়েছে খুচরা তরমুজ ব্যবসায়ীরা।
করোনা সংক্রমনে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারা দেশেই চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের
চাহিদাও কমে গেছে। ক্রেতা কমে যাওয়ায় কারনে অনেকের মজুদ করা তরমুজ পচঁন ধরতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন।স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়িদের সূত্রে জানা গেছে, ধানখালী, চম্পাপুর, লতাচাপলী, ধুলাস্বর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে । মূলত: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক এর সুফল পেয়েছে। লকডাউনের আগে অন্তত: অধিকাংশ চাষী তাদের ক্ষেত বিক্রি করতে পেরেছে বিধায় চাষীরা ভাল
দাম পেয়েছে তরমুজ’র। তবে খুচরা বিক্রেতারা ট্রাক মূলে তরমুজ ক্রয়ের পর হঠাৎ লগডাউন’র ঘোষনা আসায় পৌর এলাকায় লোক সমাগম কমে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে ক্রেতা সংকট।ক্ষুদ্র তরমুজ ব্যবসায়ী মো: ফরিদ উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, লকডাউনের
কারনে ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। দুই/চারটা যা বিক্রি করছি তাও ভাল দাম পাচ্ছি। ব্যবসায়ী মো: আনছার আলী জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে তরমুজ
কিনেছেন। বিক্রি কম হওয়ায় তার কিছু কিছু তরমুজে পচঁন ধরেছে। অপর তরমুজ ব্যবসায়ী মো: ইউনুচ জানান, হঠাৎ খাওতা কমে গেছে। কাঁচা মাল মজুদ করারও কোন সুযোগ নেই। তার অন্তত: সহস্রাধিক পিস তরমুজ কেনা ছিল। লগডাউনের পর থেকে ক্রেতা কমে যাওয়ায় তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি। আগে ভাগেই তরমুজ ক্ষেত কিনে বিপাকে পড়েছি। বিক্রি করে উঠতে পারলে ভাল। না হয় লোকসান’র বোঝা বহন করতে হবে বলে এই তরমুজ ব্যবসায়ি জানিয়েছেন।কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো: ফরিদ উদ্দিন বিপু বলেন, করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারা দেশের ন্যায় কলাপাড়ায়ও চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে। ফলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের শংকায় ভুগছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান গনমাধ্যমকে বলেন, কলাপাড়ায় ১৫’শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। লকডাউনের আগেই চাষীরা
ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করে দিয়েছে। এসময় তারা দামও ভাল পেয়েছে বলে তিনি জানান।