মিঠুন গোস্বামী রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা মানুষ। শুধু যে মানুষ তা নয়। সকল পশু পাখিরও যেন এখন নিদারুণ কষ্টে দিন কাটছে।
বিশেষ করে যে সকল প্রাণী মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বাঁচে যেমন কুকুর, বিড়াল। হোটেল, রেঁস্তোরা রাস্তার খাবার দোকান ও বাড়িগুলো লকডাউন হওয়ায় কুকুর বিড়াল খাবার সংকটে পরেছে। কেউ রাখছেনা তাদের খবর। খাবার সংকটে থাকা কুকুর বিড়ালের খাবারের ব্যবস্থা কেউ করছে না।
তবে কুকুরের প্রতি সহানুভূতি দেখালেন মানবিক সাংবাদিক রবিউল ইসলাম। তার এমন মহানুভবতায় স্বামী বিবেকানন্দের সেই কবিতার লাইন দু’টি মনে পড়ল জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাজবাড়ী জেলা স্কুল এর সামনে, পৌর মিলিনিয়াম মার্কেট, ভাজনচালা, রেল স্টেশন সহ শহরের বেস কয়েকটি স্থানে কুকুর খাবার না পেয়ে খুব কষ্টে থাকা কুকুর গুলোকে খাবার দেন রবিউল ইসলাম ও তার সহযোগি স্বেচ্ছা সেবকরা।
রাজবাড়ী বার এসোসিয়েশন এর সহ সাধারণ সম্পাদক এড. তোসলিম তপন বলেন, সাংবাদিক রবিউল ইসলামকে আন্তরিক ভালোবাসা। তিনি শুধু অসহায় মানুষের পাশে নয়, নিরীহ প্রাণীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। রবিউল কে দেখছি বেস কয়েক বছর ধরেই অসহায় মানুষের বন্ধু হয়ে কাজ করছে। গতবছরও এমন লক ডাউন এর মধ্যে রাস্তার কুকুরের কষ্টের কথা শুনে উনি ওদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেন।
জানা গেছে মানবিক রাজবাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাংবাদিক রবিউল ইসলাম তার সংগঠনে সকল স্বেচ্ছা সেবককে নির্দেশ দিয়েছেন রাজবাড়ীর পৌর এলাকায় যত কুকুর আছে সব কুকুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন, দেশজুড়ে লগডাউন চলছে আর এই লক ডাউন এ বিপাকে পরেছে রাস্তায় থাকা কুকুর বিড়াল গুলো। তাদের খাবার এর ব্যবস্থা হতো হোটেল রেস্তোরাঁ থেকে। কিন্তু লক ডাউন এর কারনে সব হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো বন্ধ সে কারনেই চরম খাবার সংকটে পরেছে কুকুর গুলো। তাই নিজ উদ্যোগে অন্তত কিছু কুকুরের খাবারের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি মাত্র। তিনি আরো বলেন আমরা যারা সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি আছি সবাই যদি একটি কুকুরের খাবার ব্যবস্থা করি থাহলে আর কোন কুকুর বিড়াল না খেয়ে থাকবে না থাই সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।