ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
আগামী বৃহস্পতিবার ৪ জুনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রামণের সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই কক্সবাজার জেলাকে ৩টি জোনে ভাগ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন আজ গণমাধ্যকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, গত পহেলা জুন থেকে জেলার ৮টি উপজেলায় এলাকা ভিত্তিক করোনা ভাইরাস সংক্রামণের সংখ্যা নির্ণয় করে কক্সবাজার জেলাকে ৩টি জোনে বিভক্ত করা হচ্ছে করোনা সংক্রমণের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব স্থানে সংক্রামণের আধিক্য রয়েছে সেসব এলাকাকে “রেড জোন” বা লাল চিহ্নিত এলাকা, যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড মাঝারী পর্যায়ে সংক্রমিত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাবে সেগুলোকে ” ইয়েলো জোন” বা হলুদ চিহ্নিত এলাকা এবং যেসব স্থানে করোনা একেবারে সংক্রমিত হয়নি সেগুলোকে নিরাপদ রাখতে “গ্রীণ জোন” বা সবুজ চিহ্নিত এলাকা হিসাবে বিভক্ত করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, যেসব স্থানে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে, সে সব এলাকা থেকে কোন বর্হির গমন, আগমন করতে পারবেন না। এলাকাটি সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে। যে সকল স্থানে ‘ইয়েলো জোন’ চিহ্নিত করা হবে সেসব এলাকাতে সবকিছু সীমিত আকারে চলা ফেরা করতে শিথিলতা থাকবে। আর যেখানে ‘গ্রীণ জোন’ হিসাবে চিহ্নিত হবে সেখানে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য নির্দেশনা মতো প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থাকবে।
মোঃ কামাল হোসেন আরো বলেন, ৩জুনের মধ্যে জেলার সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ সম্পন্ন করা হবে এবং ৪জুন বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুরো কক্সবাজার জেলাকে উল্লেখিত ৩টি পৃথক জোনে বিভক্ত করা হবে। তিনি বলেন প্রয়োজন হলে গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তিনি আরো বলেন আমরা কক্সবাজারে সম্প্রতি সময়ে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে যাচ্ছি। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানাচ্ছি।