আজমিরীগঞ্জে প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং স্হাপনা নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ১১:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ আজমিরীগঞ্জে ৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য নামেমাত্র প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং উপকরণ সরবরাহ করে স্হাপন নিয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকগণের মাঝে শুরু হয়েছে রশি টানাটানি। এতে করে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের সর্বস্তরে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন তথা শিশু শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা তথা প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং বজায় রাখার লক্ষে দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে এর উপকরণ সমূহ। এরই ধারাবাহিকতায়,
আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় মোট ৬৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫ টি বিদ্যালয়ে শারীরিক কসরত বা শরীরচর্চার জন্য প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং এর উপকরণ সরবরাহ ও স্হাপনের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে দেড় লাখ টাকা হিসেবে মোট ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। অর্থায়নে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। নিয়মানুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজ করার কথা। কিন্তু প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং এর উপকরণ সরবরাহ ও স্হাপনের সার্বিক দ্বায়িত্ব পালন করেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজ মিয়া। ইতিমধ্যে ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় যথাক্রমে বদলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাটুলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং এর মোট ৭ টি উপকরণ সরবরাহ করে স্হাপন করা হয়েছে। যা অত্যন্ত নিম্নমানের, লোকজন জানায় উক্ত উপকরণ নির্মান ও স্হাপন বাবদ খরচ হবে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে, পাটুলিপাড়া, নগর ও বদলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ জানায়, প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং এর উপকরণ সরবরাহ ও স্হাপনের কাজ করেছেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজ মিয়া। এ ব্যাপারে আমরা কোন চিঠিপত্র পাইনি। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজ মিয়ার নাম যে বলেছি, বিষয়টি সে যাহাতে না জানে বলে অনুরোধ করেন, পাটুলিপাড়ার প্রধান শিক্ষিক। এদিকে বং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানায়, বদলপুরের মেস্তুরি কাজ করেছে। কে করিয়েছে জানতে চাইলে জানায়, কে কিভাবে করিয়েছে, তা আমার জানা নেই। পর ফোন কেটে দেন। অপরদিকে সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজ মিয়া জানান, সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উক্ত কাজ করিয়েছেন। দু’পক্ষের মধ্যে রশি টানাটানিতে বিপূল পরিমাণ অর্থ লোপাটের গন্ধ পাচ্ছেন এলাকার সচেতন অভিবাবকমহল।




error: Content is protected !!