চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ আলমগীর বাবুঃ চাঁদপুর সদরে আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহমান ভুট্টুর আলোচিত হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামী হামিদুর রহমান ওরোফে সোহাগ খান(৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২’রা জুন মঙ্গলবার রাতে তাকে শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই রাশেদুজ্জামান জানান,আসামী সোহাগ খান হত্যাকান্ডের পর গাঁ ঢাকা দিয়েছিলো।ঐ সময়ে সে আতঙ্কিত হয়ে ভোলাসহ বেশ কয়েক স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো। তবে সে বিকালে নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করার জন্য চাঁদপুর আসে।এরপর তাকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে রাত সাড়ে ১০ টায় এক প্রেস ব্রিফিং করে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন এন্ড কমিউনিটি পুলিশিং) মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান,গত ১৮ মে দিবাগত রাতে কুমারডুগি নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে আজিজুর রহমান ভুট্টুকে পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পরদিন ১৯ মে ভুট্টুর স্ত্রী চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৬/২০(ধারা ৩০২/৩৪) এবং ভার্চুয়াল মামলা নং ২৬৮/২০। এই মামলায় এজাহার নামীয় আসামীদের মধ্যে মো. মুনসুর খান,মোস্তফা খান কালু ও মো. সুমন খানকে গত ২০ মে ভোরে চাঁদপুর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।পরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ইন্সপেক্টর মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের আরো জানান, ভুট্টু হত্যা মামলার এজাহার নামীয় গ্রেফতার হওয়া ৩ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ভার্চুয়াল আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।এই ভুট্টু হত্যা মামলার প্রধান আসামী হামিদুর রহমান সোহাগ খান (৩৮) কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।আসামীদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যাইতেছে।মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।এ সময় চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ ও বিভিন্ন সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনায় খুন হওয়া ভুট্টুর পরিবারের পক্ষে তার বন্ধু শাহমাহমুদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান পাটওয়ারী সাংবাদিকদের জানান,মামলার প্রধান আসামী সোহাগসহ অন্যদেরকে গ্রেফতার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।পাশাপাশি এ ঘটনায় যদি অন্য কেউ জড়িত থেকে থাকে।তাদেরকে তদন্তসাপেক্ষে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবী রইলো।আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রার্থণা করছি।
প্রসঙ্গত,খুন হওয়া আজিজুর রহমান ভুট্টু ছিলো চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী।যার বাড়ি শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কুমারডুগি এলাকায়।