মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক দলের সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা করতে দেয়নি প্রশাসন। শনিবার সকালে উপজেলা অডিটোরিয়ামে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষেমালিকা চাকমা, সহকারী পুলিশ সুপার(বেগমগঞ্জ সার্কেল) এমরান হোসেন, সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল বাতেন মৃধা অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ভিতরে অবস্থান করেন। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহম্মদ চৌধুরী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু জাফর টিপু দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভাস্থলে যেতে চাইলে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।এ সময় সভাপতি, সম্পাদক বাধার কারন জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় উপরের নির্দেশে সভা করতে দেয়া হবে না বলে জানান।
এ সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দিয়ে জানান, আমরা প্রশাসনের সাথে দন্ধে জড়াতে চাইনা, এ ঘটনায় উপরের নির্দেশ বলতে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে দায়ী করেন এবং মতবিনিময় সভা স্থগিত করে পরবর্তীতে করা হবে বলে নেতা-কর্মীদের ধৈর্য্য ধরার আহবান জানিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে তার অফিসে গিয়ে সাংবাদিকদের বিফিং করেন, এ সময় তিনি বলেন গতরাত থেকেই এ সভা বানচাল করার চেষ্টা চলে আসছে,যার প্রমাণ রাতে ও সকালে কয়েকটি বোমা বিস্পোরন ঘটানো হয় এবং তিনি এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোরশেদ আলম মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারী এস এ আজাদ সুমনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার মাধ্যমে জানান করোনা পরিস্থিতির কারনে জনসমাগম এড়ানোর জন্য প্রশাসন সভা সমাবেশ বন্ধ করলে সেটা প্রশাসনের ব্যাপার, এ ব্যাপারে উনি কিছুই জানেন না