কলাপাড়ার হাজীপুরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ স-মিল, নিরব বনবিভাগ ॥

প্রকাশিত: ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২১

রাসেল কবির মুরাদ ,কলাপাড়া প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ার হাজীপুরে সংরক্ষিত
বনের কোলঘেষে গড়ে উঠেছে অবৈধ স-মিল। স-মিলের নেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের
কোনো অনুমোদন। এরফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।
স-মিলে কাঠ জোগান দিতে গিয়ে উজাড় হচ্ছে বন বিভাগের গাছ। সরকার বঞ্চিত
হচ্ছে বিশাল অংকের রাজস্ব থেকে। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ
পদক্ষেপের অভাবে অবৈধভাবেই হাজিপুর সংরক্ষিত ফাতরা বনের পাশেই নির্মাণ
করা হয়েছে এ স-মিল।

স্থানীয় সূত্র মতে জানা যায়, কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের
সোনাতলা নদীর তীরে এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই মধ্যে এ স-মিল। স-মিল
স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স প্রাপ্তির পর নিতে হয় পরিবেশ
অধিদফতরের ছাড়পত্র। স-মিল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২-র আইনে সুস্পষ্টভাবে
বলা রয়েছে, করাত কল স্থাপন বা পরিচালনার জন্য লাইসেন্স ফি বাবদ ২০০০ টাকা
‘১/৪৫৩১/০০০০/২৬৮১ (বিবিধ রাজস্ব ও প্রাপ্তি)’ খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা
যেকোন সরকারি ট্রেজারিতে জমাপূর্বক উহার ট্রেজারি চালান আবেদনপত্রের সহিত
সংযুক্ত না করলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।

সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র,
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটারের মধ্যে স-মিল স্থাপন করা যাবে না।
সকাল ৬টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে স’মিল চালানো যাবে না। বিধিমালায় আরো
বলা আছে, এ আইন কার্যকর হওয়ার আগে কোনো নিষিদ্ধ স্থানে স-মিল স্থাপন করা
হয়ে থাকলে আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সেগুলো বন্ধ করে
দিতে হবে। যদি তা না করা হয় তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা বন্ধের জন্য
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, কলাপাড়ায় কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে
অবৈধ স-মিল। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাব এ সংকট
সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স-মিল মালিক বুলেট হাওলাদার এ প্রতিবেদককে বলেন, এলাকার জনসাধারণ উপকারের
স্বার্থে স-মিলটি স্থাপন করা হয়েছে।

কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আবদুস ছালাম সাংবাদিকদের বলেন, স-মিল
নির্মাণে অনুমতির জন্য আমার কাছে কোন লিখিত আবেদন দেয়নি। চলমান লকডাউনের
সুযোগ নিয়ে মিলটি স্থাপন করা হচ্ছে। আমি খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করবো।

পটুয়াখালী জেলা সহকারী বন কর্মকর্তা মো: তরিকূল ইসলাম সাংবাদিকদের জানায়,
বনবিভাগের নীতিমালা অনুসারে শীঘ্রই আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।




error: Content is protected !!