পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে স্বরূপকাঠি ও কাউখালী পিরোজপুর এলাকার বিস্তীর্ন জনপথ। এ ভাঙ্গনে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে গোটা এলাকার মানচিত্র। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা রাতের বাতাস ভারী হয়ে যায় সর্বহারা মানুষের ক্রন্দন রোলে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও নদী সংলগ্ন দুই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙন কবলিত নদী তীরে ওই মানববন্ধনে ইলুহার ইউনিয়নের বিহারীলাল একাডেমী ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, বিহারীলাল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মো. মাহাবুবুর রহমান, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ। উল্লেখ্য ইলুহার ইউনিয়নের দক্ষিনে স্বরূপকাঠি(নেছারাবাদ) উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড ছিল। যা এখন ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। ওই এলাকায় কুনিয়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ছিল। দু’বছর আগে তা সন্ধ্যা গহবরে বিলীন হয়ে গেছে। ওই দু’ই উপজেলার সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে স্বরূপকাঠি উপজেলার নান্দুহার, বাররা, কুনিয়ারী, কৌড়িখাড়া, গনমান, মুনিনাগ, জলাবাড়ী, সেহাংগল গ্রামের বহু বসত বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভয়াল সন্ধ্যার ভাঙনে বহু পরিবার তাদের শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে এখন সর্বহারা। অপরদিকে সন্ধ্যা নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার ভাঙন বেড়েই চলছে। জানাগেছে এ জনপদের বালু ব্যবসায়ীরা নিয়ম বর্হিভূত বালু উত্তোলন করায় নদীর গতি পথ পাল্টে নদীর দুই পাড়ে ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙন কবলিতরা জানিয়েছেন সন্ধ্যার ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ভাঙন রোধে সরকারী উদ্যোগ না থাকায় তাদের হতাশা বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় তারা সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ দিকে স্বরূপকাঠিতে মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের হস্তক্ষেপে ও তার নেওয়া প্রকল্পের অধিনে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও টেক্স ব্যাগ ফেলো হচ্ছে।