কাকাইলছেওয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প সহ পানি বন্দী ৫১ পরিবার অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস ইউ,এন,ও’র
নিজস্ব প্রতিনিধি- আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ের কুশিয়ারার কালনী নদীর তীরে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫১ টি ভূমিহীন পরিবার অল্প পানিতেই গৃহবন্দী জীবন যাপন করছেন। এতে করে আশ্রিত ৫১ টি পরিবারের লোকজনের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যহত হচ্ছে। বসবাসের অনুপযোগী হলে, অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালেহা সুলতানা সুমী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,
চলতি বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ভূমিহীন পরিবারদের ঘর বরাদ্দ দেয় সরকার। কিছুদিন পূর্বে ঘরগুলো হস্তান্তরের পর ভূমিহীন পরিবারগুলো তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করে। সম্প্রতি বর্ষা মৌসুমে কুশিয়ারার কালনী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে, নদীর তীর সংলগ্ন নিচু জায়গায় মাটি ভরাট না করেই ঘর গুলো নির্মাণ করায় অল্প পানিতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণকৃত ঘরগুলোর ফ্লোর সংলগ্ন স্হানে পানি উঠে যায়। এতে করে রাস্তা-ঘাট ও ঘরের আঙ্গিনায় চলাফেরায় ভূগান্তিতে পড়তে হচ্ছে লোকজনদের। আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী মহিলা পুরুষ শিশুদের প্রধান সড়ক, বাজার ও নানা গন্হব্যে যেতে পানি ভেঙ্গে যাতায়াত করতে হচ্ছে। মোঃ একরাম হোসেন নামে স্হানীয় এক বাসিন্দা জানায়, প্রতি বছর ওই স্হান সহ রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকালীন সময়ে অনেকেই মাটি ভরাটের কথা বলে, কিন্তু কর্ণপাত করেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ। সম্প্রতি অভিযোগ উঠে সার্বিক দ্বায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। উনি নীচু ভূমিতে মাটিঁ ভরাট না করেই ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এতে করে দুর্নীতি সহ অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কারও পরামর্শ পাত্তা দেননি বলে অনেকেই জানায়। আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ সহ সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে বসবাসকারী ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা জানায়, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ঘরের মেঝে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংখা রয়েছে। তখন আমরা কোথায় গিয়ে উঠব? সরকার ঘর দিল এতো টাকা খরচ করে, কিন্তু যারা নির্মাণের সহিত জড়িত, তারা কম টাকা দিয়া এমন কাজ করেছে। এদিকে খবর পেয়ে গতকাল সোমবার কাকাইলছেওয়ে নির্মাণকৃত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো দেখতে সরজমিনে পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালেহা সুলতানা সুমী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের সহিত খোলামেলা আলোচনা করেন। এ ছাড়াও ভূক্তভুগীদের সমস্যাগুলো মনযোগ সহকারে শুনেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালেহা সুলতানা, সুমী জানান, আশ্রায়ণ প্রকল্পের নির্মাণকালীন সময়ে আমি ছিলাম না। তবে যদি ঘরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়, তখন তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।